SIR: দিব্যি জাঁকিয়ে বসেছিল বাংলায়, SIR শুরু হতেই চোরাপথে বাংলাদেশে পালানোর ছক যুবকের
Bangladeshi National arrested: SIR শুরু হতেই চাপ বাড়তে থাকে। এরপর ওই যুবক সিদ্ধান্ত নেন, দালাল মারফত কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ ফিরে যাবেন। সেই মতো হলদিবাড়ি পৌঁছে যান। কিন্তু বাংলাদেশ যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল, ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড, একটি ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড-সহ কিছু টাকা।

হলদিবাড়ি: পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের বসবাসের অভিযোগ তুলে অনেকদিন ধরে সরব বিজেপি। বিশেষ নিবিড় সংশোধনে (SIR) অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা যাবে বলেও তাদের দাবি। এই পরিস্থিতিতে এসআইআর আতঙ্কে চোরাপথে বাংলাদেশে পালাতে গিয়ে ধরা পড়লেন এক যুবক। ধৃতের নাম দুর্জয় রায়। বছর আঠাশের ওই যুবককে কোচবিহারের হলদিবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। চার বছর আগে চোরাপথে ভারতে আসার কথা স্বীকারও করেছেন ওই যুবক। ভারতে এসে আধার কার্ড, প্যান কার্ডও বানিয়ে ফেলেছিলেন।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর থেকে সিঞ্জারহাট এলাকায় ওই বাংলাদেশি যুবককে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দেওয়ানগঞ্জ আউট পোস্টের পুলিশ। দুর্জয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন, তাঁর বাড়ি বাংলাদেশে। এরপর তাঁকে গ্ৰেফতার করে দেওয়ানগঞ্জ আউট পোস্টে নিয়ে যায় পুলিশ।
হলদিবাড়ি থানার পুলিশ সূত্রে খবর, দুর্জয় রায়ের বাড়ি বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার মর্দিয়া গ্ৰামে। বছর চারেক আগে চোরাপথে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন তিনি। হোটেল, চা বাগানে কাজ করছিলেন। SIR শুরু হতেই চাপ বাড়তে থাকে। এরপর তিনি সিদ্ধান্ত নেন, দালাল মারফত কাঁটাতার পেরিয়ে বাংলাদেশ ফিরে যাবেন। সেই মতো হলদিবাড়ি পৌঁছে যান। কিন্তু বাংলাদেশ যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি মোবাইল, ভারতীয় আধার কার্ড, প্যান কার্ড, একটি ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড-সহ কিছু টাকা।
পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করার পর ধৃত বাংলাদেশি যুবক বলেন, “বছর চারেক আগে এখানে ঘুরতে এসেছিলাম। এখানে চা বাগান, হোটেলে কাজ করতাম।” প্রসঙ্গত, এসআইআর শুরু হওয়ার পর চোরাপথে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
