আসাউদ্দিনের বঙ্গ সফরের আগেই কোচবিহারে মিমের প্রার্থী ঘোষণা

২৫ ফেব্রুয়ারি ফের বঙ্গ সফরে ওয়েইসি, তার আগেই কোচবিহারে সব আসনে লড়ার কথা ঘোষণা করল মিম

আসাউদ্দিনের বঙ্গ সফরের আগেই কোচবিহারে মিমের প্রার্থী ঘোষণা
ফাইল ছবি
Follow Us:
| Updated on: Feb 21, 2021 | 10:56 PM

কোচবিহার: একুশের বিধানসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে আরও এক প্রতিযোগীর সংখ্যা বাড়ল। রবিবার কোচবিহারের পঞ্চ শহিদ মঞ্চে কর্মিসভা করে জেলার নয় বিধানসভা আসনেই প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করল আসাউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi)-র মিম। ২৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতা আসছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস-ইত্তেহাদুল (AIMIM)-এর প্রধান ওয়েইসি। তার আগেই এদিন মিমের কোচবিহারের জেলা সভাপতি মহম্মদ সওকত আলির ঘোষণা, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জেলার নয় বিধানসভা আসনেই প্রার্থী দেবেন তাঁরা।

বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফ দলের জোট আলোচনা অব্যাহত। এর মধ্যে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত দক্ষিণ ২৪ পরগনার মেটিয়াব্রুজে সভা করতে আসছেন ওয়েইসি। বিহারের বিধানসভা ভোটে ভাল ফল করে মিম প্রধান বাংলার ভোটে কত আসনে লড়বেন তা চূড়ান্ত ঘোষণা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে। যেটা একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছে না তৃণমূল। এর আগে ওয়েইসি যখন রাজ্য সফর করেছিলেন তখন বৈঠক করেন আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে। বাংলার আব্বাসের দেখানো পথে মিম চলবে বলে দাবি করেছিলেন তিনি।

তবে পরে আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নামে দল গঠন করেন। এখন বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আসনরফা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছেন আব্বাস। এমন অবস্থায় রাজ্য সফরে এসে ফের আব্বাসের সঙ্গে ওয়েইসি বৈঠক করেন কিনা তা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। আবার বাম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আসনরফা নিয়ে ওয়েইসির কোনও কথা হয় কিনা, সে দিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

এদিকে ওয়েইসির বঙ্গ সফরের আগেই কোচবিহারের সবক’টি আসনে লড়ার কথা ঘোষণা করে দিলেন তাঁর দলের কোচবিহারের জেলা সভাপতি। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কোচবিহারের ৯ আসনের আটটিতেই জেতে তৃণমূল। একটি আসন পায় বামফ্রন্ট। এখন মিম সেখানে লড়লে কোনও প্রভাব রাখতে পারে কিনা তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেল।

আরও পড়ুন: ‘সদর্থক’ আলোচনা সত্ত্বেও জোটের বৃত্ত অধরাই, ফের বসতে চান সিদ্দিকিরা

প্রসঙ্গত, বিহারের ভোটে পাঁচটি আসন পাওয়া আসাউদ্দিনের মিম এই প্রথমবার বাংলার অংশ নিতে চলেছে। মূলত সংখ্যালঘু অধ্য়ুষিত বিধানসভাগুলিতে তারা লড়বে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দল ও বাম-কংগ্রেস জোটের ভোটবাক্সে প্রভাব জড়তে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এদিকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যাব অবশ্য মিমকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে নারাজ। মালদহ, মুর্শিদাবাদের মতো জালা নেতৃত্বকেো তিনি সেই বার্তা দিয়েছেন। এবার অবশ্য শুধু মিম নয়, জেডিইউ, আরজেডি, হাম, শিবসেনা, আজসু-র মতো বেশ কিছু আঞ্চলিক দল অংশ নিতে চলেছে একুশের নির্বাচনে।