কোচবিহার: দুর্নীতির অভিযোগে লাগাতার জেলে যাচ্ছেন শাসকদলের একের পর দাপুটে নেতারা। জেলেই দিন কাটছে অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের। এদিনই আবার তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষকে ডেকে পাঠিয়েছে ইডি (ED)। যদিও তৃণমূলের দাবি, ভোটের (Panchayat Election 2023) মুখে বেছে বেছে টার্গেট করা হচ্ছে তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতাদের। নেপথ্যে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের হাত। যদিও এরইমধ্যে এবার গ্রেফতার হয়ে গেলেন পঞ্চায়েতের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী। যা নিয়ে জোর শোরগোল কোচবিহার জেলাজুড়ে।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও লড়েছিলেন। জিতেও গিয়েছিলেন। হয়েছিলেন প্রধান। এবারেও তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোটের আবহে বিজয়োল্লাসে মাতার আগে গ্রেফতার হয়ে গেলেন দিনহাটার বরশকদল গ্রাম পঞ্চায়েতের দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা বিদায়ী প্রধান তাপস দাস। যা নিয়ে জোর চর্চা জেলার রাজনৈতিক মহলে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন থেকেই তাপসের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছিল। এদিন সকাল থেকেই দিনহাটা ২ নম্বর ব্লকের ঘাটপার এলাকায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে দিনহাটা থেকে গ্রেফতার করা হয়। তারপরই সাহেবগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে জেলা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের স্পেশাল টিম।
এদিকে তাপসের পরিবারের লোকেরা জানাচ্ছেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর সঙ্গে একাধিক ইস্যুতে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না বেশ কিছুদিন ধরে। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তাপস দাসের মেয়ে প্রিয়া দাস। তিনি বলছেন, “আমাদের বুথে কয়েকদিন আগে মন্ত্রী মিটিং করতে এসেছিলেন। সেখানে লোক কম হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বাবার সঙ্গে ঝামেলা হয়। খারাপ কথা বলেন। বলতে থাকেন বাবা বিজেপি করছেন। অথচ বাবা বিজেপি করেন না। আমার বাবা মন্ত্রীকে একটা গাড়ি গিফট করেছিলেন। আজ সকালে গাড়িটা নিয়ে আসেন বাবা। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সবই মন্ত্রীর চক্রান্ত।” যদিও এ বিষয়ে উদয়ন গুহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন বলে জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে তারপর জানাবেন বলে মন্তব্য করেন।