কোচবিহার: ওবিসি শংসাপত্রে বড়সড় দুর্নীতির গন্ধ পেয়েছে হাইকোর্ট। বুধবারই ৫ লক্ষ ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ। এই নির্দেশকে সামনে রেখেই ময়দানে বিজেপি। আদালতের এই রায়ের ফলে এক ধাক্কায় প্রায় ৫ লক্ষ শংসাপত্র বাতিল হয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে কোচবিহার জেলা বিজেপির নেতৃত্ব-সহ ওবিসি মোর্চা সাংবাদিক বৈঠক করে। জানিয়ে দেয়, সর্বতোভাবে যোগ্যদের পাশে তারা। প্রয়োজনে আইনি সাহায্যও করতে রাজি বলে জানিয়েছে।
কোচবিহার জেলা ওবিসি মোর্চার সভাপতি সুব্রত কর বলেন, “ওবিসি ক্যাটাগরি ‘এ’ সম্পূর্ণ সংবিধান বিরোধী বলে গত ডিসেম্বরে আমরা ধরনায় বসি। তবে আমাদের দাবি থাকবে, সত্যি যারা শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য, তারা যেন সহজ পদ্ধতিতে শংসাপত্র পেতে পারে। আমাদের ওবিসি মোর্চা-সহ মূল সংগঠন সকল ওবিসি সদস্যর পাশে আছে। এই রাজ্য সরকারের সংবিধান বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।” যারা শংসাপত্র পাওয়ার যোগ্য তারা পাবেই, তা নিয়ে আমাদের কোনও বিরোধ নেই। কিন্তু অন্যায়ভাবে কাউকে পাইয়ে দিলে মানা হবে না।
বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বিরাজ বোস জানান, তাঁদের দল সবসময় ন্যায্য পাওনার অধিকারীদের পাশে। আইনি সাহায্যও তাঁরা দেবেন। তাঁদের বক্তব্য, ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরি হারানোর পথে, সকলে অযোগ্য এমন নয়। একইভাবে এই ৫ লক্ষ মানুষই যে ওবিসির আওতাভূক্ত নন, এমনও নয়। সরকারের জন্য ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা।
ওবিসি মোর্চার নেতা সুব্রত কর বলেন, “রাজ্যস্তর থেকে জেলাস্তরে আমাদের আলোচনা হয়েছে। মণ্ডলে মণ্ডলে নেতৃত্বকে ডেটাবেস সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে। গ্রামে গ্রামে যোগাযোগ করবেন। আমাদের ল’ অ্যান্ড লিগাল সেলের সঙ্গে বসে এরপর কীভাবে সাহায্য করা যায় তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেব।”