কোচবিহার : রাতের অন্ধকারে সরকারি দফতরে কাজ চলছে। এমন অভিযোগ সামনে আসছে বিভিন্ন জেলা থেকে। রাতের কাজ প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, আদতে তথ্য লোপাটের চেষ্টা চলছে। কোচবিহারের খাদ্য দফতরের অফিসে আগেও এমন ছবি দেখা গিয়েছে। এবার সেই জেলাতেই অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত দফতরকে কেন্দ্র করে। শুক্রবার রাতে, সরকারি দফতর ছুটি হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও পঞ্চায়েত দফতরের অফিস খুলে কাজ চলছিল কেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। রাতে অফিস খোলা দেখে বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বক্সিরহাট থানার পুলিশ। শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে তুফানগঞ্জ-২ নম্বর ব্লকের, শালবাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ের ঘটনা।
বিজেপির দাবি, জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা অডিট করছে। তথ্য জানতে সেই প্রতিনিধিরা আসতে পারে, এমন আশঙ্কা থেকেই কাজ চলছিল পঞ্চায়েত দফতরের অফিসে। ওই রাতে এলাকার কিছু মানুষজন প্রথমে দেখতে পান অফিসের ভিতর আলো জ্বলছে। বোঝা যায়, কয়েকজন কাজ করছেন ভিতরে। খবর পেয়েই অফিসের সামনে আসেন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। অফিসের ভিতরে প্রবেশ করেও বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীরা কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি।
১০০ দিনের কাজ সম্পর্কে খোঁজ নিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল বিভিন্ন জেলার গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে যাবে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, ছুটি হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও রাতে অফিস খুলে ডেটা এন্ট্রির কাজ চলছিল। বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুর্নীতি ঢাকতেই কাজ চলছিল অফিসের ভিতরে।
সপ্তাহ খানেক আগে এরকমই একটি অভিযোগ উঠেছিল কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের খাদ্য সরবরাহ দফতরের অফিসে। সেখানেও এ ভাবে রাতে কাজ চলতে দেখা যায়। রাজ্য়ের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী যেহেতু বাম আমলে খাদ্য দফতরের মন্ত্রী ছিলেন, তাই বিজেপি প্রশ্ন তোলে কোনও তথ্য লোপাট করার জন্য কাজ চলছিল না তো? একই ছবি দেখা গিয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের জেলাতেও। অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর ওই বীরভূমের সিউড়িতে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের অফিসে কাজ চলতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন : 19,867.8 MHz স্পেকট্রাম অধিগ্রহণ করে ভারতীয়দের জন্য 5G বিপ্লব ঘটাতে চলেছে এয়ারটেল