Food Department office: মধ্যরাতে খাদ্য দফতরে কিসের কাজ? পরেশ-যোগ নয় তো! সন্দেহ বিজেপির

TV9 Bangla Digital | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 06, 2022 | 9:00 AM

Food Department office: বাম আমলে এই দফতরের মন্ত্রী ছিলেন বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক পরেশ অধিকারী। রাতে সেই দফতরের অফিসেই আধিকারিকদের কাজ করতে দেখা যায়।

Food Department office: মধ্যরাতে খাদ্য দফতরে কিসের কাজ? পরেশ-যোগ নয় তো! সন্দেহ বিজেপির

Follow Us

মেখলিগঞ্জ : বিকেলেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অফিস। রাতে আচমকাই সেই সরকারি দফতরে আলো জ্বলতে দেখেন এলাকার মানুষজন। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। চোর ঢুকেছে? নাকি কোনও নথি সরিয়ে ফেলার কাজ চলছে? কিছুক্ষণের মধ্যেই অফিসের গেট আটকে চলে বিক্ষোভ। খবর যায় থানায়। পুলিশ এসে আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে কোনও ক্রমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শুক্রবার মধ্যরাতে এমনই ঘটনা ঘটল মেখলিগঞ্জের খাদ্য সরবরাহ দফতরের অফিসে। দফতরের আধিকারিকরা সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ না খুললেও তাঁদের দাবি, কিছু পড়ে থাকা কাজ শেষ করার জন্যই রাত অবধি অফিস খুলে রাখতে হয়েছিল তাঁদের।

শুক্রবার রাত ১২ টা নাগাদ অফিসে আলো জ্বলতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতিদিনের মতো শুক্রবারও বিকেলের দিকেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল অফিস। এরপর রাত ১২ টা নাগাদ দেখা যায় ভিতরে আলো জ্বলছে। খবর ছড়িয়ে পড়তেই অফিসের সামনে হাজির হন এলাকার বিজেপি নেতারা। বিজেপি নেতা আশেকার রহমান, ঝুমুর আলি ফকিরদের দাবি, কোনও গোপন কাজ চলছে ভিতরে। এরপর বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন। আটকে দেওয়া হয় অফিসের গেট। খবর দেওয়া হয় মেখলিগঞ্জ থানায়।

খবর শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ আধিকারিকেরা। অফিসারদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন তাঁরা। অফিসের মধ্যে থাকা এক আধিকারিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের তিনি জানিয়েছেন, এমন কিছু বিশেষ কাজ থাকে, যা শেষ করার তাড়া থাকে। সেই কারণেই খোলা ছিল অফিস। শুক্রবারের মধ্যেই কিছু রিপোর্ট দফতরের ওপর তলায় পাঠানোর তাড়া ছিল বলে জানান তাঁরা।

বিজেপি নেতা আশেকার রহমানের দাবি, সাধারণ মানুষের কাজের সময় অনেক ক্ষেত্রেই আধিকারিকদের দেখা পাওয়া যায় না। অথচ রাতে অফিসে হাজির অফিসাররা। তাঁরা উল্লেখ করেন, বাম আমলে খাদ্য দফতরের মন্ত্রী ছিলেন পরেশ অধিকারী। সেই সময় অনেক ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি হয়েছিল বলে দাবি বিজেপি নেতাদের। ইতিমধ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই নাম জড়িয়েছে সেই তৃণমূল বিধায়কের। তাই তাঁর আমলের গোপন নথি সরানোর কাজ চলছিল বলে দাবি করেছেন বিজেপি নেতারা।

Next Article