সিতাই: পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যজুড়ে জনসংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মানুষের মতামত নিয়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন অভিষেক। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ নিজের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে পারবেন। কোচবিহার (Coochbehar) থেকে শুরু হয়েছে তৃণমূলের এই জনসংযোগ যাত্রা। আর প্রথম দিনেই খানিক তাল কাটল কর্মসূচিতে। সাহেবগঞ্জে অভিষেক সভা শেষ করে বেরোতেই হুড়োহুড়ির মধ্যে ভেঙে পড়ে ব্যালট বাক্স। পরের সভা ছিল সিতাইয়ের গোসানিমারিতে। সেখানেও কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ধরা পড়ল। গোসানিমারিতেও অভিষেক সভা শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার পর ব্যালট বাক্স ঘিরে বিশৃঙ্খলার চিত্র। গোপন ব্যালটে প্রার্থীর নাম দেওয়ার প্রক্রিয়ায় গোসানিমারিতে শাসক শিবিরকে কিছুটা হোঁচট খেতে হল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী তালিকাকে কেন্দ্র করে স্বচ্ছতা আনতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক অভিনব পন্থা শুরু করেছেন। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ তাঁদের পছন্দের প্রার্থীর নাম দেবেন এবং দলীয় নেতৃত্ব সেইভাবেই প্রার্থীতালিকা সাজাবে। কিন্তু গোসানিমারিতে দেখা গেল, সেই প্রার্থীর নাম দেওয়াকে কেন্দ্র করে এক চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। দুই মাস ব্যাপী তৃণমূলের এই জনসংযোগ যাত্রার গোছানো কর্মসূচিতে শুরুর দিনেই এমন বিশৃঙ্খলতা স্বাভাবিকভাবেই বেশ কিছু প্রশ্ন উসকে দিচ্ছে। এখন দেখার এই দৃশ্য কি বিক্ষিপ্ত কোনও ঘটনা হিসেবে থেকে যাবে ? নাকি আগামী দিনগুলিতে আরও এমন কিছু দৃশ্য অপেক্ষা করছে।
কী কারণে এই বিশৃঙ্খলতা গোসানিমারিতে? প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখান থেকে চলে যাওয়ার পরই এলাকার নেতাগোছের লোকেরা নিজেদের নাম প্রস্তাব করার জন্য একাধিক স্লিপ কেটে কেটে জমা দিচ্ছিলেন। সাধারণ মানুষ যাঁরা ব্য়ালট পত্র চাইছেন, তাঁরা ব্যালট পত্র পাচ্ছেন না, এমন অভিযোগও উঠছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এই নিয়েই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়।