কোচবিহার: কোচবিহারের আদালত চত্বরে হাই পাওয়ার গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করল ভারতীয় সেনা। মালখানার ভেতরে পুরনো গাঁজার প্যাকেটে ছিল গ্রেনেডটি। কিছুদিন আগেই নজরে আসে পুলিশের। তদন্ত করে খবর দেওয়া হয় ভারতীয় সেনাকে। তারপরই রবিবার সকালে গ্রেনেড নিস্ক্রিয়করণ। সাগারদিঘি চত্বরে চূড়ান্ত নিরাপত্তা।আদালত চত্বরের পাশেই রয়েছে একটি মালখানা। তার ভিতরেই একটি পুরনো গাঁজা প্যাকেটের মধ্যে একটি বোমা পড়ে থাকতে দেখা যায় গ্রেনেডটিকে। জানা যাচ্ছে, প্রথমে পুলিশের তরফেই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখেন, এই হাই পাওয়ার গ্রেনেড নিষ্ক্রিয় করার পরিকাঠামো রাজ্য পুলিশের নেই। এরপরই বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের তরফে সেনা বিভাগকে জানানো হয়। কিন্তু যাতে আতঙ্ক না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য বিষয়টি গোপনে রাখা হয়েছিল। চূড়ান্ত সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছিল আদালত চত্বরে।
শনিবার থেকেই গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। রবিবার সকাল থেকেই আদালত চত্বরে চূড়ান্ত তৎপরতা। আশপাশের এলাকা ফাঁকা করে দেওয়া হয়। রবিবার থাকায় আদালত ও বিভিন্ন দফতর বন্ধ ছিল। বালির বস্তা দিয়ে এলাকা ঘিরে ফেলা হয়। আদালত চত্বরে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করা হয়। বিকট শব্দে ফেটে যায় গ্রেনেডটি। গ্রেনেড আদালত চত্বরে কীভাবে এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জানা যাচ্ছে, বাজেয়াপ্ত হওয়া সমস্ত গ্রেনেড আদালতের মালখানায় জমা করা হয়েছিল। সেগুলিকে সরাতে একটা গাঁজার কার্টুনে গ্রেনেডটি দেখতে পান তাঁরা।