কোচবিহার: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত দিনহাটার গিতালদহ (Cooch Behar)। অঞ্চল তৃণমূলের (TMC Inner Clash) সভাপতির বিরুদ্ধে বাড়ি ঘর ভাঙচুর ও মহিলাদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। মূলত সোমবার দুপুর থেকেই দিনহাটার গিতালদহ এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের গীতালদহে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল মিঞাঁর বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে অঞ্চল সভাপতির দলের বিরুদ্ধে। বাড়িঘর ভাঙচুর করা ছাড়াও পরিবারের একাধিক মহিলা সদস্যকে মারধর ও বাড়ির আশপাশে থাকা গাছ-গাছালি কেটে ফেলারও অভিযোগ ওঠে। কাঠগড়ায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাহফুজুর রহমান। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে মাহফুজার। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছেছে ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এলাকায় এখনও উত্তেজনা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে পঞ্চায়েত সদস্য নজরুল হক বাড়িতে ছিলেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাহফুজার রহমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন লোক বাড়িতে গিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। বাড়িতে থাকা পুরুষ এবং মহিলা সদস্যদের মারধর করেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তরা তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে দাবি আক্রান্ত পরিবারের। আক্রান্তের বক্তব্য, “আমি একটা জমি মাপামাপিতে গিয়েছিলাম। আমাদের বাড়িতে মাহফুজুর দাঁড়িয়ে থেকে হামলা চালিয়েছে। আমার ছেলে-ছেলের বউ আমার বউকে অত্যাচার করেছে। ওরা গ্রামে ব্যাপক অত্যাচার করছে। প্রায় ১৫০টা সুপারি গাছ কেটেছে। আমি আসলে নীরপেক্ষ, ওর কথা শুনি না। তাই হামলা।” যদিও অভিযুক্ত অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।
দিনহাটা এক নম্বর ব্লকের দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। একদিকে বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া গোষ্ঠী এবং অপরদিকে বিধায়কের বিরোধীগোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে বারংবার উত্তপ্ত হয়েছে গোটা ব্লক । বিধানসভা ভোটের পর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ওই এলাকায় চরম আকার ধারণ করেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই এলাকা থেকে বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা উঠে আসছে। ২০১৮ সালেও এই এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। এই সব এলাকা অত্যন্ত স্পর্শকাতর হয়ে ওঠে।