কোচবিহার: আর কয়েক মাস। তারপরই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই এলাকা দখলের লড়াই। রাতভর বোমাবাজির অভিযোগ গ্রামজুড়ে। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। কোচবিহারের দিনহানা ১ নম্বর ব্লকের ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাকান্দি গ্রামের ঘটনা। সেখানে গভীর রাতে বোমাবাজির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আনুমানিক বারোটা থেকে একটা নাগাদ বালাকান্দি গ্রামে রাস্তার ধারের ধানক্ষেতে বোমাবাজি ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে ঘুম উড়ে যায় স্থানীয় বাসিন্দাদের। বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে যান এলাকাবাসী। এরপর স্থানীয়রা বাইরে বেরলে কাউকে দেখতে পায়নি বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দিনহাটা থানার পুলিশ। স্থানীয়দের আশ্বাস দিতেই ওকরাবাড়ি বাজারে মধ্য রাত্রিবেলা দিনহাটা থানার পুলিশের তরফে বাজার জুড়ে টহলদাড়ি চালানো হয়। বস্তুত, ২০১৮ পঞ্চায়েত ভোটের আগে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল দিনহাটা জুড়ে, ঠিক সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘রাত্রি সাড়ে এগারোটা বাজে। আমি তখন ঘুমোতে যাব। মোবাইল ঘাঁটছি। বিকট একটা শব্দ হল। কে বা কারা এই কাজ করল তা আমি জানি না। এরপর বাইরে এসে পাড়া পড়শি সকলকে ডাকি। বাইরে এসে দেখি ওই এলাকায় বোমা ফেলে দিয়ে চলে গিয়েছে। তবে কারা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত তা আমি দেখতে পাইনি।’
বস্তুত, কয়েকদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়ায় বোমাবাজির অভিযোগ। সোমবার ভাটপাড়া থানার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এই বোমাবাজি হয়। চারজন বোমার আঘাতে জখমও হন। কাঁকিনাড়া ১০ নম্বর গলিতে এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের অভিযোগ, দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা হয়। তাঁরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এলাকার লোকজন এর প্রতিবাদ করতেই দুষ্কৃতীরা দু’টি বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ। তাতেই হরেকৃষ্ণ চৌহান নামে ৫৮ বছর বয়সী এক প্রৌঢ় জখম হন। এছাড়া হীরা সাউ, রঘুনাথ চৌধুরী-সহ আরও একজন আহত হন। হরেকৃষ্ণকে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে (JNM) পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা গুরুতর। বাকিদের ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও অবধি কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।