Dinhata: অসম থেকে উত্তম কুমারের বাড়িতে এল NRC নোটিস! রেগে গেলেন উদয়ন
Dinhata: এদিন তিনি জানিয়েছেন, 'আমি জন্ম থেকেই এখানকার বাসিন্দা। বাবা-ঠাকুরদা সবাই এখানেই থাকত। কোনও দিন অসমে যাইনি। তারপরও কীভাবে সেখান থেকে নোটিস এল বুঝতে পারছি না।'

কোচবিহার: গোটা দেশজুড়ে আপাতত কোনও ভিত্তি নেই। বলা চলে, কার্যত হিমঘরেই পড়ে রয়েছে NRC। কিন্তু হাল টানার যে কেউ নেই এমনটাও নয়। হিমঘরে থাকা NRC-কেই টেনে বের করে আনতে চায় অসম সরকার। তাই তো বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে যায় NRC-র নোটিস।
ঘটনা দিনহাটার। সেখানে চৌধুরীহাটের সাদিয়ালের কুঠি এলাকার বাসিন্দা উত্তম কুমারের কাছে গেল NRC নোটিস। কারা পাঠাল? অসম সরকার। কিন্তু উত্তম কুমার তো এই বাংলার বাসিন্দা, তাকে কীভাবে অসম সরকারের তরফ থেকে NRC নোটিস পাঠানো যেতে পারে? আপাতত সেই নিয়েই যত জল ঘোলা।
এদিন তিনি জানিয়েছেন, ‘আমি জন্ম থেকেই এখানকার বাসিন্দা। বাবা-ঠাকুরদা সবাই এখানেই থাকত। কোনও দিন অসমে যাইনি। তারপরও কীভাবে সেখান থেকে নোটিস এল বুঝতে পারছি না।’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত জানুয়ারি মাসে জেলা পুলিশের তরফ থেকে এই NRC নোটিসটি তার বাড়িতে পৌঁছয়। কিন্তু কাগজটা কীসের তা বুঝতে পারেন না উত্তম কুমার। তখন তিনি পৌঁছে যান প্রতিবেশীদের কাছে। তারা তাকে জানায় যে এটি একটি NRC নোটিস।
কী লেখা রয়েছে সেই নোটিসে?
তাতে বলা হয়েছে, দিনহাটার ওই বাসিন্দা ১৯৬৬ সাল থেকে ১৯৭১ সালের মধ্যে অবৈধভাবে অসমের সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। এছাড়াও পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়ায় তিনি নাকি বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি, তাই তাকে অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী ১৫ই জুলাইয়ের মধ্যে উপযুক্ত নথি দেখাতে না পারলে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
উত্তমবাবুর আইনজীবী অপূর্ব সিনহার অভিযোগ, তার মক্কেলের বিরুদ্ধে এই মামলাটি অসম সরকার দায়ের করেছিল ২০১৫ সালে। যার নোটিস এসে পৌঁছল প্রায় ৯ বছর পর। এটা কীভাবে সম্ভব? আবার যেখানে বাংলা NRC-কে মান্যতা দেয়নি। সেখানে কীভাবে অসম সরকার এমন একটা নোটিস পাঠাতে পারে?
ইতিমধ্যেই উত্তম কুমারের NRC ইস্যু নিয়ে সরব হয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এদিন তিনি বলেন, ‘উত্তম কুমার ব্রজবাসী ভারতীয় নাগরিক। কামরূপ জেলার পুলিশ সুপার কোন সাহসে কোচবিহারের দিনহাটার বাসিন্দাকে এই চিঠি পাঠান? এছাড়াও, ১৯৭১ সালের আগে যারা এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’





