কোচবিহার: মাইকিং করে গ্রামে প্রচারও করা হয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি আধিকারিকরা এসেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ‘দুয়ারে সরকারে’র ক্যাম্প তুলে দিলেন গ্রামবাসীরা। স্থানীয় লোকেদের বক্তব্য দুয়ারে সরকার শিবিরে আবেদন করেও কোনও কাজ হয়নি আগে। তাই বুথে ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরের তুলে দেওয়া হয়েছে । শিবিরের ব্যানার পোস্টার সমেত সরকারি নথিপত্র ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে ঘিরে শাসক ও বিরোধী তরজা তুঙ্গে। বুধবার তুফানগঞ্জ থানার ধলপল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে দুয়ারে সরকার শিবির বসতেই উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তুফানগঞ্জ থানার পুলিশ ও তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লক যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক।
বুধবার তুফানগঞ্জ-১ ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে ধলপল বাজারে বসে দুয়ারে সরকার শিবির। পাশাপাশি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪ নম্বর বুথেও টেবিল চেয়ার নিয়ে দুয়ারে সরকারের শিবিরে বসেন আধিকারিকরা। এলাকার বেহাল রাস্তাঘাট নিয়ে দুয়ারে সরকারের কাছে আগেই অভিযোগ জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। অভিযোগ, রাস্তা সারানোর আবেদন জানালেও কোন কাজ গত কয়েক মাসে হয়নি। তা করার মতো উদ্যোগও দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
দুয়ারে সরকারের শিবিরে ব্যানার পোস্টার ও সরকারি নথিপত্র ছিড়ে ফেলার অভিযোগ ওঠে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। এক গ্রামবাসী বলেন, “গ্রামের প্রত্যেকটা রাস্তা বেহাল। বারবার কাগজ নিয়েছে। এখানে কীভাবে স্কুলের সামনে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প বসল। মানুষ জেরক্স করে বারবার কাগজ জমা দেয়, কাজ হয় না। আমি নিজে তিন বছর ধরে এসসি সার্টিফিকেটটার জন্য ঘুরছি, কতবার জেরক্স জমা দিয়েছি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা হয়নি।”
আরেক মহিলা গ্রামবাসী বলেন, “গ্রামে রাস্তা নেই। যারা দল করেন, তাঁদেরই কাজ হয়। কিন্তু আমাদের কোনও কাজ হয় না। কত্তবার কাগজ জমা দিয়েছি। দুয়ারে সরকারে কাগজ দিয়ে আমার লাভটা কী, যদি কাজই না হয়?” যদিও এদিনের এই বিক্ষোভ নিয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও রকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।