কোচবিহার: সাতসকালে বাড়িতে বসে আলু কাটছিলেন বাবু বর্মন। ঘর থেকে শুনতে পান বাইরে কে একটা চিৎকার করছে। এ আওয়াজ একেবারেই তাঁর চেনা নয়। এরপরই হাতের কাজ ফেলে ছুটে যান বাইরে। দেখেন বাড়ির উঠোনে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে একটি হরিণ। মানুষ দেখে লাফালাফিও বাড়িয়ে দেয় হরিণটি। বৃহস্পতিবার সকালে মাথাভাঙা-২ ব্লকের লতাপাতা গ্রামপঞ্চায়েতের দ্বারিকামারি গ্রামে হইচই পড়ে যায়। পাড়ার লোকজন ভিড় করেন বর্মন বাড়ির উঠোনে। এরপর সেখান থেকে ছুট লাগায় হরিণটি।
বৃহস্পতিবার সকাল তখন ৭টা। মধ্যবয়স্ক ওই সম্বর হরিণ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দা বাবু বর্মন। তাঁর ডাকেই ছুটে আসেন পাড়ার লোকেরা। এরপর দৌড়ে বেড়ায় হরিণ, দৌড়তে থাকেন পাড়ার লোকজনও। অবশেষে পরমেশ্বর বর্মন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির সামনের বেড়াতে আটকে পরে হরিণটি। তাকে ধরে নিয়ে যায় বনদফতর।
এ বিষয়ে মাথাভাঙা বন বিভাগের আধিকারিক সজল পাল জানান, “আমরা খবর পাই লতাপাতা গ্রামপঞ্চায়েতের দ্বারিকামারিতে একটি হরিণ ছুটে বেড়াচ্ছে। আমাদের লোকজন এসে হরিণটিকে উদ্ধার করে। পাতলাখাওয়া জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে তাকে।”