গুলিকাণ্ডের পর শীতলকুচি থানা চত্বর থেকে উদ্ধার হোমগার্ডের ঝুলন্ত দেহ!
Sitalkuchi: পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতেও ডিউটি দিচ্ছিলেন নৃপেন। সকালবেলাতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবার যদিও এ বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করতে পারেনি।
কোচবিহার: বিধানসভা নির্বাচন পর্বে ভোট চতুর্থীর সকাল থেকেই শিরোনামে ছিল শীতলকুচি (Sotalkuchi)। সেই শীতলকুচির থানা চত্বরের পরিত্যক্ত স্থানে গাছে ঝুলন্ত হোমগার্ডের মৃতদেহ উদ্ধার হল। মৃত হোমগার্ডের নাম নৃপেন বর্মণ। সকালবেলা, থানা-ক্যাম্পাসের পেছনের দিকে থাকা একটি জাম্বুরা গাছে তাঁকে ঝুলে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার রাতেও ডিউটি দিচ্ছিলেন নৃপেন। সকালবেলাতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবার যদিও এ বিষয়ে বিশেষ আলোকপাত করতে পারেনি। তবে পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না বলেই দাবি করেছেন মৃ্তের পরিজনেরা। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যাই করেছেন ওই হোমগার্ড। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করে মাথাভাঙা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে আচমকা কেন এই ‘আত্মহত্যা’ তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই অস্বাভাবিক মৃত্য়ু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ভোট চতুর্থীর সকাল থেকেই শিরোনামে ছিল শীতলকুচি (Sotalkuchi)। রাত থেকে কড়া প্রহরা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশের। নজর ছিল কমিশনেরও। তবুও রোখা সম্ভব হয়নি হিংসা। সকালেই পাঠানটুলিতে আনন্দ বর্মন নামে তেইশ বছরের এক তরুণের মৃত্যু হয়। তার ঘণ্টা খানেকের খবর আসে মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মধ্যবর্তী এলাকা জোরপাটকিতে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার গোটা বাংলায় শোরগোল পড়ে যায়।
শীতলকুচির (Sotalkuchi) সেই গুলিকাণ্ডের জল গড়িয়েছিল অনেকদূর। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণ করেন, সেদিনই শীতলকুচিকাণ্ডের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দেন। সিট তদন্তের শুরুতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ছয় জওয়ান ও দু’জন অফিসারকে তলব করা হয়। ডাকা হয় মাথাভাঙা থানার সাব ইন্সপেক্টরকেও। একইসঙ্গে কোচবিহারের প্রাক্তন এসপিকেও ডেকে পাঠানো হয়। গত ৩ অগস্ট মঙ্গলবার ভবানী ভবনে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সিআইএসএফের। কিন্তু ইমেল মারফৎ তারা সিআইডিকে জানায়, তাদের সাতদিন সময় দেওয়া হোক। তারপরেই বৃহস্পতিবার থানা চত্বরেই উদ্ধার হোমগার্ডের দেহ। আরও পড়ুন: ‘ত্রিপুরার বিজেপি আর বঙ্গের তৃণমূল পরস্পরের সমার্থক’, আলিমুদ্দিন ‘বিরোধী সুর’ অশোকের?