AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bangladesh Trade: ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’! বর্ডারে দাঁড়িয়ে সারি-সারি বাংলাদেশি ট্রাক

Bangladesh Trade: প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বহনকারী প্রায় ৫০টির বেশি ট্রাক ভারতে প্রবেশ করে থাকে। নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় এসব ট্রাক আটকে যাচ্ছে। তাতেই আতঙ্কের ছবি স্পষ্ট বাংলাদেশের পণ্য় পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ট্রাক ড্রাইভারদের চোখে-মুখে।

Bangladesh Trade: ভারতের 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'! বর্ডারে দাঁড়িয়ে সারি-সারি বাংলাদেশি ট্রাক
কী বলছেন বাংলাদেশের ট্রাক চালকরা? Image Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: May 18, 2025 | 2:38 PM
Share

চ্যাংড়াবান্ধা: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ভারতের। এখন থেকে ভারতের সব সীমান্ত বা বন্দর থেকে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক, খাবার, প্লাস্টিকের জিনিস, কাঠের আসবাব, রঙ কিছুই আর আমদানি করা যাবে না। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার ডিরেক্টোরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেডের (DGFT) তরফে। তা নিয়েই এখন জোর চর্চা দুই দেশে। চাপানউতোর রাজনৈতিক মহলেও। উদ্বিগ্ন বাংলাদেশের ট্রাক চালকরাও।

এই নিষেধাজ্ঞার ফলে চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দরে কার্যত অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষদের মধ্যেও চরম হতাশা। তাঁদের বক্তব্য এই অঞ্চলে কোনও উল্লেখযোগ্য শিল্প না থাকায় তারা মূলত সীমান্তের আমদানি-রফতানির উপরেই নির্ভরশীল। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে তাঁদের জীবিকাই এখন ঘোর অন্ধকারে। বাংলাদেশের ট্রাকচালক ও ব্যবসায়ীরাও ভারতের এই সিদ্ধান্তে প্রবল চাপে। তাঁরা বলছেন, এর ফলে ব্যবসার অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। 

কাপড় নিয়ে ঢাকা থেকে আসছিলেন মহম্মদ আবদুস সালাম নামে এক চালক। কপালে চিন্তার ভাঁজ তাঁরও। বলছেন, “আমাদের মতো মানুষের খুব ক্ষতি হয়ে যাবে। কারণ আমাদের মতো মানুষদের জীবিকাই তো এর উপর দাঁড়িয়ে।” 

সূত্রের খবর, প্রতিদিন বাংলাদেশের বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বহনকারী প্রায় ৫০টির বেশি ট্রাক ভারতে প্রবেশ করে থাকে। নতুন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ায় এসব ট্রাক আটকে যাচ্ছে। তাতেই আতঙ্কের ছবি স্পষ্ট বাংলাদেশের পণ্য় পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত ট্রাক ড্রাইভারদের চোখে-মুখে। তবে ভারতের এই সিদ্ধান্ত কূটনৈতিক স্তরে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ বাংলাদেশের উপর ভালই চাপ তৈরি করবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের। এপারের ব্যবসায়ী সংগঠনের তরফে সুরজিৎ পালের দাবি, চাপ বাড়াচ্ছে ভারত। বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের দাবি,  হিন্দু নিপীড়ন এবং ভারত বিদ্বেষ সামনে এসেছে। ফলে বাংলাদেশ ঠিক করুক তারা কি করবে! শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবের দাবি, বাংলাদেশ আমাদের হৃদয়ে থাকে। কিন্তু ইউনুস সরকারের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে। আমাদের সীমান্ত রয়েছে। রাজ্য নানা পর্যবেক্ষণ পাঠিয়েছে। কেন্দ্র সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।