NRC Notice: উত্তরবঙ্গে অঞ্জলি, নিশিকান্তের কাছেও অসম থেকে এল NRC নোটিস
NRC Notice: নোটিস পেয়েও অসমে যেতে নারাজ অঞ্জলি। তিনি বলেন, নোটিসটা আগে যাচাই করব, তারপর যাব।

মাথাভাঙা: উত্তম ব্রজবাসীর পর এবার নিশিকান্ত দাস। কোচবিহারের মাথাভাঙার বাসিন্দার কাছে এল এনআরসি-র নোটিস। অসম থেকে নোটিস পাঠানো হয়। নোটিস পাওয়ার পর অসমেও গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। দিয়ে এসেছেন নথিও। শুধু নিশিকান্ত নয়, আর একটি নোটিস গিয়েছে ফালাকাটার বাসিন্দা অঞ্জলি শীল।
জানা গিয়েছে, ৩০ বছর আগে অসমে গিয়েছিলেন নিশিকান্ত। কর্মসূত্রে সেখানে ছিলেন তিনি। সেই সময় অসম পুলিশ তাঁকে আটক করেছিল। কাগজ দেখানোর পর ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর বাংলায় চলে আসেন তিনি। গত জানুয়ারি মাসে আচমকাই তাঁর কাছে এসেছে এনআরসি নোটিস।
নোটিস পাওয়ার পর অসমে গিয়ে কাগজপত্র জমা দেন তিনি। তবে সেটাও যথেষ্ট ছিল না। বাবার ভোটার লিস্টে থাকা নামের অংশ দেখাতে হবে বলে জানিয়েছিল অসম সরকার। প্রথমে খুঁজে না পেলেও সেই অংশও খুঁজে পেয়েছেন তিনি। প্রায় ৪৫ বছর আগে যে বাবার মৃত্যু হয়েছে, তাঁর নথি দেওয়া সহজ ছিল না। নিশিকান্তর অনুমান, আর কোনও অসুবিধা হবে না।
নোটিস এসেছে উত্তরবঙ্গের আরও এক বাসিন্দার কাছেও। ফালাকাটার বাসিন্দা অঞ্জলি শীলের বাড়িতেও এসেছে নোটিস। তাঁর বাপের বাড়ি অসমের ধুবড়িতে। ২৫ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়ে যায়। সেই থেকে ফালাকাটায় রয়েছেন তিনি। তবে নোটিস পেয়েও অসমে যেতে নারাজ অঞ্জলি। তিনি বলেন, নোটিসটা আগে যাচাই করব, তারপর যাব।
তৃণমূলের দাবি, আসলে বিজেপি ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “আসলে ওদের পায়ের নীচের মাটি নেই। সরাসরি ভোট হলে বিজেপি জিতবে না। সব ক্ষমতা প্রয়োগ করেও বাংলায় ক্ষমতায় জিততে পারছে না। তাই ভয় দেখিয়ে ভোটের বৈতরণী পার করার চেষ্টা হচ্ছে।”
এদিক, বিজেপির দাবি, আদতে তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের মদত দিচ্ছে। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “তৃণমূল ভয় দেখাতে চাইছে। অনুপ্রবেশকারী ও উদ্বাস্তুদের মধ্যে তফাৎটা আমরা জানি। তৃণমূল যা করার চেষ্টা করছে এটা কার্যকর হবে না।”
