কোচবিহার: ভোট মিটতেই দিকে দিকে অশান্তি ও গোলমালের অভিযোগ। বিজেপির তরফে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, জায়গায় জায়গায় তাদের দলীয় কর্মী-সমর্থকরা রাজনৈতিক হিংসার শিকার হচ্ছেন। প্রচুর কর্মী ভয়ে ঘরছাড়া বলেও দাবি পদ্ম শিবিরের। এসবের মধ্যেই শনিবার কোচবিহারে অশান্তির শিকার হওয়া দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে যান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের সমস্যার কথা শোনেন তিনি। সেই সময়েই বিজেপির এক সংখ্যালঘু মহিলা সমর্থক উঠে দাঁড়িয়ে শুভেন্দুকে শোনান আতঙ্কের পরিস্থিতির কথা।
ওই মহিলা সমর্থক শোনান, “আমাকে বলছে, আমার একটাই দোষ। আমি মুসলিম হয়েও কেন বিজেপি পার্টি করি? এই বলে আমাকে হুমকি দেয়।” তাঁরা যাতে সুস্থভাবে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেই বিষয়টি দেখার জন্য দলীয় নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানান বিজেপির ওই মুসলিম মহিলা সমর্থক। শুধু তাই নয়, সেখানে উপস্থিত বাকি বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও শোনান, কীভাবে তাঁদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। এক বিজেপি কর্মী জানান, এলাকায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ধান কাটতে দেওয়া হচ্ছে না। ধান কাটার মেশিন দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
দলীয় কর্মী-সমর্থকদের থেকে পরিস্থিতির বর্ণনা শুনে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘এবার শারীরিক আক্রমণের মাত্রাটা একটু কম। এবার ওঁরা অন্য কৌশল নিয়েছে। মানুষের জীবন ধারনের জন্য ন্যূনতম প্রয়োজনের জিনিসগুলি বন্ধ করা হচ্ছে। রেশন বন্ধ করা, হাটে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, জমি থেকে ধান তুলতে বাধা দেওয়া, বাড়ি-ঘর ভেঙে লুঠতরাজ করা… গায়ে না মেরে এভাবে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মহিলাদের উপর মানসিক অত্যাচারের চেষ্টা চলছে।’
তাঁদের আশ্বস্ত করে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘যতক্ষণ না আপনাদের পূর্ণ নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে ফেরাতে পারছি, আপনাদের থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব বিজেপির। যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসার দায়িত্বও বিজেপির।’