কোচবিহার: কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল তুফানগঞ্জের রামপুর। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে মাটিতে, শিকড় আলগা হয়ে হেলে গিয়েছে গাছ। কারও ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে, কারও আবার ঘরে ভেঙে পড়েছে আম গাছের ডাল। সঙ্গে তুমুল শিলাবৃষ্টি। এর জেরে ক্ষেতেরও প্রবল ক্ষতি হয়েছে। কোনও কোনও বাড়ির অবস্থা এতটাই খারাপ যে কীভাবে তা সামাল দেবেন ভেবে কূল পাচ্ছেন না। এলাকার লোকজনের একটাই আর্জি, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াক। কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করুক। অন্তত মাথার চালটুকু যেন ফেরত পান তাঁরা। শনিবার রাতে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রামপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের জালধোঁয়া, বিশ্বাসপাড়া এলাকা হঠাৎই প্রবল ঝড় শুরু হয়। বাইরে শন শন শব্দ। ঘরের ভিতরে থেকেও মনে হচ্ছে যেন মাথার উপর সমস্ত কিছু ভেঙে পড়বে।
আশপাশের গাছগুলির প্রবল শব্দ আর দুলুনি। এরইমধ্যে বেশ কয়েটি বাড়ির ঘরের ছাউনি উড়ে যায়। ভুট্টার ক্ষেত যাঁদের, তাঁদের অবস্থাও বেশ শোচনীয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঝড়ে প্রায় ৭০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয় কেউ প্রাণে বাঁচতে খাটের নিচে ঢুকে পড়েন, কেউ আবার মাথা বাঁচাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই ছুট লাগান। মিনিট কয়েকের ঝড়ের পরেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ঝড় বৃষ্টির পরই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এলাকার এক বাসিন্দা কালীচরণ সরকারের কথায়, “আমাদের পাশাপাশি দু’টো ঘর। আমরা কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছি। পাশের ঘরটা তো একেবারে ভেঙে মিশে গিয়েছে। তছনছ করে দিয়েছে। কোনওরকমে ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য জায়গায় গিয়ে প্রাণ বাঁচাই। অনেক বাড়িতেই ক্ষতি হয়েছে। এক বাড়িতে তো আমাদের মতো অবস্থা হয়েছে। কোনওমতে প্রাণে বেঁচেছে ওরাও। বিশাল আমগাছ ঘরে পড়ে গিয়েছে। সরকারি কিছু আর্থিক সাহায্য পেলে ঘরটা ঠিক করতে পারি। আমাদের তো আর হাতে সবসময় টাকা থাকে না। এবার তো ভুট্টা, পাট চাষ করতেই পারলাম না। এর আগেও এমন বৃষ্টি হয়েছে কিছুই করতে পারিনি।”
আরেক বাসিন্দা সুশান্ত সরকার বলেন, “খুব ঝড় হয়েছে। আমরা এরকম ঝড় আগে কখনও দেখিনি। বুঝতে পারিনি এরকম হবে। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাড়িতে। ঘর ভেঙে গিয়েছে। গাছ পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি। বারান্দার চালের উপর গাছটা পড়ে। ঘরের চালের উপর পড়লে তো সব শেষ হয়ে যেত। আশা করি প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্য পাব।”
কোচবিহার: কয়েক মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল তুফানগঞ্জের রামপুর। বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়েছে মাটিতে, শিকড় আলগা হয়ে হেলে গিয়েছে গাছ। কারও ঘরের চাল উড়ে গিয়েছে, কারও আবার ঘরে ভেঙে পড়েছে আম গাছের ডাল। সঙ্গে তুমুল শিলাবৃষ্টি। এর জেরে ক্ষেতেরও প্রবল ক্ষতি হয়েছে। কোনও কোনও বাড়ির অবস্থা এতটাই খারাপ যে কীভাবে তা সামাল দেবেন ভেবে কূল পাচ্ছেন না। এলাকার লোকজনের একটাই আর্জি, সরকার তাদের পাশে দাঁড়াক। কিছু অর্থ দিয়ে সাহায্য করুক। অন্তত মাথার চালটুকু যেন ফেরত পান তাঁরা। শনিবার রাতে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের রামপুর-২ গ্রামপঞ্চায়েতের জালধোঁয়া, বিশ্বাসপাড়া এলাকা হঠাৎই প্রবল ঝড় শুরু হয়। বাইরে শন শন শব্দ। ঘরের ভিতরে থেকেও মনে হচ্ছে যেন মাথার উপর সমস্ত কিছু ভেঙে পড়বে।
আশপাশের গাছগুলির প্রবল শব্দ আর দুলুনি। এরইমধ্যে বেশ কয়েটি বাড়ির ঘরের ছাউনি উড়ে যায়। ভুট্টার ক্ষেত যাঁদের, তাঁদের অবস্থাও বেশ শোচনীয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ঝড়ে প্রায় ৭০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন হয় কেউ প্রাণে বাঁচতে খাটের নিচে ঢুকে পড়েন, কেউ আবার মাথা বাঁচাতে ঝড়-বৃষ্টির মধ্যেই ছুট লাগান। মিনিট কয়েকের ঝড়ের পরেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ঝড় বৃষ্টির পরই এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
এলাকার এক বাসিন্দা কালীচরণ সরকারের কথায়, “আমাদের পাশাপাশি দু’টো ঘর। আমরা কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছি। পাশের ঘরটা তো একেবারে ভেঙে মিশে গিয়েছে। তছনছ করে দিয়েছে। কোনওরকমে ঘর থেকে বেরিয়ে অন্য জায়গায় গিয়ে প্রাণ বাঁচাই। অনেক বাড়িতেই ক্ষতি হয়েছে। এক বাড়িতে তো আমাদের মতো অবস্থা হয়েছে। কোনওমতে প্রাণে বেঁচেছে ওরাও। বিশাল আমগাছ ঘরে পড়ে গিয়েছে। সরকারি কিছু আর্থিক সাহায্য পেলে ঘরটা ঠিক করতে পারি। আমাদের তো আর হাতে সবসময় টাকা থাকে না। এবার তো ভুট্টা, পাট চাষ করতেই পারলাম না। এর আগেও এমন বৃষ্টি হয়েছে কিছুই করতে পারিনি।”
আরেক বাসিন্দা সুশান্ত সরকার বলেন, “খুব ঝড় হয়েছে। আমরা এরকম ঝড় আগে কখনও দেখিনি। বুঝতে পারিনি এরকম হবে। অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বাড়িতে। ঘর ভেঙে গিয়েছে। গাছ পড়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছি। বারান্দার চালের উপর গাছটা পড়ে। ঘরের চালের উপর পড়লে তো সব শেষ হয়ে যেত। আশা করি প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্য পাব।”