কোচবিহার: বিজেপি প্রার্থী-কর্মীদের ধরপাকড়ের প্রতিবাদ। কোচবিহার পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে ধরনায় বসলেন বিজেপি বিধায়করা। রয়েছেন শীতলকুচির বিধায়ক বরেন বর্মন, নাটাগুড়ির বিধায়ক-সহ মোট ৬ জন বিধায়ক। সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে জেলা পরিষদের প্রার্থী তরুণীকান্ত বর্মনকে। জানা গিয়েছে, পুরনো একটি মামলায় হাজিরা না দেওয়ায় দিনহাটা ২ ব্লকের বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী তরুণীকান্ত বর্মনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিজেপির বক্তব্য, যে মামলায় তরুণীকান্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, সেই মামলাতে তৃণমূল কর্মীরাও জড়িত ছিলেন। কিন্তু তাঁদের কেন গ্রেফতার করা হল না?
বরেন বর্মন বলেন, “নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই সারা বাংলায় সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। কোচবিহারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সেভাবে সাড়া পাননি। মানুষকে ভয় দেখানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী চলে যাওয়ার পরই আমাদের প্রার্থীকে পুরনো মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে।”
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এইভাবে বিজেপি প্রার্থীর গ্রেফতারির বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি-র শীর্ষ নেতৃত্বও। জানা গিয়েছে, তরুণীকান্ত ২০১৩-১৮ সাল পর্যন্ত তৃণমূলের সদস্য ছিলেন। পরে তিনি দল পরিবর্তন করেন। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের ২৬ নম্বর আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি।
এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছিলেন তিনি। প্রচারে সাড়াও পাচ্ছিলেন বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের। আর সেই কারণেই তাঁকে পুরনো একটি মামলায় হঠাৎ করে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, পুরনো একটি মামলায় আদালতে হাজিরা না দেওয়াতে তরুণীকান্তের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। সেই পরোয়ানাই কার্যকর করা হয়েছে। তবে মামলার খুঁটিনাটি জানাতে চাননি জেলা পুলিশের কর্তারা।
বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “বিষয়টি বুঝেশুনে করা হচ্ছে। পুরনো মামলা না থাক, নতুন মামলা দিয়েও গ্রেফতার করা হচ্ছে। বুঝেশুনে বাড়িতে পুলিশের গাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চমকানো হচ্ছে। মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে সরাসরি হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের ক্ষমতা নেই মনোনয়ন করার। তাই পুলিশ দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।”