দিনহাটা: অশান্তি যেন থামছেই না কোচবিহারের দিনহাটায়। ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই যেন বাড়ছে গণ্ডগোল। মঙ্গল,বুধের পর বৃহস্পতিবারও উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটার গিতলদাহ। সেখানে নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভাঙচুর করা হল বেশ কয়েকটি বাড়িও।
অভিযোগ, তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি জায়গায় বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নির্দল প্রার্থীকে দেওয়া হয় হুমকিও। নির্দল প্রার্থীর পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের পরিবারের সদস্য নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিতেই অশান্তি চরমে ওঠে। মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে তাঁকে গ্রাম ছাড়া করেছে শাসকদলের লোকজন। এখানেও শেষ নয়, বুধবার রাতের অন্ধকারে এসে তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর করেছে। যদিও, এই বিষয়ে মাফুজার রহমানের বক্তব্য মেলেনি।
কিন্তু কেন বারংবার উত্তপ্ত হচ্ছে কোচবিহার? এ প্রসঙ্গে একে অপরকে দুষেছে বিজেপি-তৃণমূল। বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই শীতলকুচি আর দিনহাটা এটা উপদ্রুত এলাকা। সেখানে লড়াই করে লোকসভা আর বিধানসভা দুটোতেই আমারা কয়েকটি আসন পেয়েছি। বাংলাদেশের বর্ডার থেকে লোক এসে উপদ্রব করে। বিএসএফ তাই ওইখানে গুলি চালিয়েছিল। এমনকী নবজোয়ারও ওইখান থেকে শুরু হয়েছিল। এমনকী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী প্রচারও ওইখান থেকে শুরু হয়েছিল। সেখানে যা উন্নতি হয়েছে সব মোদী করেছে।” অপরদিকে, মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “যেহেতু বর্ডার এলাকা সেই কারণে বিরোধী বন্ধুরা উত্তেজনা তৈরি করছেন। মারপিট করে যদি পঞ্চায়েত জেতা যায়।”
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সকালে গীতলদাহ প্রথমে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেখানে এক তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে পরপর গুলি করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় নিহত হন বাবু হক নামে এক তৃণমূল কর্মী। জখম হন পাঁচজন। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের রাত্রিবেলা গুলিবিদ্ধ হন অপর তৃণমূল কর্মী শাহিনুর হক। জানা যায়, শাহিনুরের দিদি এবার পঞ্চায়েত পদপ্রার্থী। রাত্রি এগারোটা নাগাদ দলীয় প্রচার সেরে ফেরার পথে তাঁকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। জখম অবস্থায় দ্রুত তাঁকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।