কোচবিহার: পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচারের ঝড় তুলতে আজ, সোমবার কোচবিহারে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহার থেকে শুরু হচ্ছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রচার। রবিবার বিকালে মুখ্যমন্ত্রী পৌঁছেছেন কোচবিহার শহরে। রাতে ছিলেন শহরের একটি হোটেলে। সোমবার বেলা ১১টায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনসভা করবেন কোচবিহারের দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চান্দামারি প্রাণনাথ হাই স্কুল মাঠে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রথম জনসভা মুখ্যমন্ত্রীর। প্রথম এই সভা থেকে কর্মীদের কী বার্তা দেন, তার দিকেই তাকিয়ে কোচবিহার তথা বাংলার মানুষ। কোচবিহারের এবিএন শীল কলেজ মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে তিনি যাবেন চান্দামারি সভামঞ্চে।
সভা মঞ্চের পাশেই তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড। যে দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সভা সেই কেন্দ্রে গত বিধানসভা নির্বাচনে আসন হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। এলাকায় জয়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। সেই এলাকাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভা। এরপরে কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়িতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার প্রথমে মুখ্যমন্ত্রী দক্ষিণ কোচবিহার বিধানসভার অন্তর্ভুক্ত পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে প্রচার সারবেন। তারপর সেখান থেকে তিনি মালবাজারের উদ্দেশে রওনা দেবেন। মঙ্গলবার মালবাজার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে সভা করবেন।
প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে একটি কথা উল্লেখ্য, এর আগে গত এক দশকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেভাবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নামতে দেখা যায়নি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অর্থাৎ ২০১৮ সালে কোচবিহারে ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে শাসকদলের দখলে গিয়েছিল ১২৬টি। তবে মাঝের বিধানসভা নির্বাচনে বেশ কিছুটা মাটি শক্ত করেছিল বিজেপি। বাইশের পঞ্চায়েতে ‘১৮-র প্রতিচ্ছবিই দেখতে চাইছে শাসকদল। তাই দলের সুপ্রিমো উত্তর থেকেই শুরু করলেন প্রচার। কিন্তু এবারে পঞ্চায়েতের প্রচারে কেন মমতা? তা নিয়ে বিরোধীরাও সরব। বাম-বিজেপির আবার অন্য যুক্তি। তাদের বক্তব্য, দুর্নীতি ইস্যুতে বিদ্ধ শাসকদল আসলে মাটি হারানোর ভয় পাচ্ছে। তাই সুপ্রিমোকেও নামতে হল ময়দানে। তবে মমতা সফর ঘিরে কোচবিহারে তৃণমূলে প্রস্তুতি তুঙ্গে।