AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mihir Goswami: উত্তরবঙ্গে আসেন, ফেরার পথে সমস্ত প্রতিশ্রুতি ফরাক্কায় ডুবিয়ে যান, মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ মিহির গোস্বামীর

Mamata Banerjee: তিনদিনের সফরে সোমবার রাতে মালঙ্গি ফরেস্ট টুরিস্ট লজে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

Mihir Goswami: উত্তরবঙ্গে আসেন, ফেরার পথে সমস্ত প্রতিশ্রুতি ফরাক্কায় ডুবিয়ে যান, মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ মিহির গোস্বামীর
বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী।
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2022 | 5:41 PM
Share

কোচবিহার: মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরবঙ্গ সফর ঘিরে বিস্ফোরক বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যাপাধ্যায়ের তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরকে নিছক ‘বেড়াতে আসা’ বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। মিহির গোস্বামীর কথায়, কলকাতার দূষণ থেকে নিজেকে সুস্থ রাখার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসেন। একইসঙ্গে তার তোপ, তিনি কলকাতা ফেরার সময় উত্তরবঙ্গের মানুষকে দেওয়া সমস্ত প্রতিশ্রুতি ফরাক্কার জলে ভাসিয়ে দিয়ে যান। তিনদিনের সফরে সোমবার রাতে মালঙ্গি ফরেস্ট টুরিস্ট লজে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারে প্যারেড গ্রাউন্ডে দুই জেলা আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির কর্মিসভা রয়েছে। পরদিন সুভাসিনি চা বাগানে গণবিবাহের আসর বসবে। সেখানেও যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। রয়েছে প্রশাসনিক বৈঠকও। এরপরই হাসিমারা এয়ারফোর্স স্টেশন থেকে হেলিকপ্টারে বাগডোগরা এয়ারপোর্টে পৌঁছবেন সেখান থেকে বিকেলে কলকাতায় পৌঁছনোর কথা তাঁর।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, “মাননীয়া তো মাঝেমধ্যেই বেড়াতে আসেন উত্তরবঙ্গে। এটা আজ নতুন কিছু না। মাঝে মাঝে কলকাতার দূষণ তাঁকে পরিশ্রান্ত করে তোলে। সুস্থতার জন্য তিনি উত্তরবাংলায় পরিস্রুত পরিবেশে আসেন। এবারও আসবেন। প্রশাসনিক খরচপত্র হবে। বাংলা এমনিতেই ঋণে জর্জরিত। আরও ঋণের বোঝা বাড়বে ওনার সফরকে কেন্দ্র করে। হাজার হাজার পুলিশ কর্মীকে বিভিন্ন জেলা থেকে এনে জমা করা হয়। আবার তাদের ফেরানো হয়। এসব নতুন কিছু নয়।”

এরইসঙ্গে মিহির গোস্বামীর সংযোজন, “এত কিছু করে উত্তরবঙ্গের কোনও উন্নয়ন হয় না। মুখ্যমন্ত্রী এসে কিছু কথা বলে যান। আবার যখন ফরাক্কা পার হন, ফরাক্কার জলে সেসব ডুবিয়ে চলে যান কলকাতায়। তাই তিনি আসলেন কী গেলেন কিছু যায় আসে না। উনি তো প্রায়ই বেড়াতে আসেন। বেড়ানোর জন্য উত্তরবাংলা তো উৎকৃষ্ট জায়গা। কিন্তু এখানকার মানুষের জন্য যে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম, যা তিনি মুখে বলতেন একটা সময়, তা ভুলে গিয়েছেন। এখানকার মানুষের যন্ত্রণা বঞ্চনা যেখানে ছিল স্বাধীনতার এতগুলো বছর পর আজও সেখানে।”