আলিপুরদুয়ার: প্রেম করে বিয়ে করায় শাসক দলের (Trinamool Congress) রোষানলে দম্পতি। চাপের মুখে পড়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা যুগলের। এই খবরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে আলিপুরদুয়ারের(Alipurduyar) তুফানগঞ্জে। সূত্রের খবর, গত ২৯ মে শালবাড়ি নাগুরহাটের দুই যুবক-যুবতী গত প্রেম করে বিয়ে করেন। অভিযোগ,এই বিয়ের পর থেকেই শাসক দলের রোষানলে পড়েন তারা। অভিযোগ, মেয়ের বাড়ির লোকজনের হয়ে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তাদের ভয় দেখাতে থাকে। বাধ্য হয়ে ওই সদ্য বিবাহিত যুগল এলাকা ছেড়ে চলে আসেন আলিপুরদুয়ারের ভাটিবাড়িতে মামার বাড়িতে। এখানে এসেও নিস্তার পাননি তারা।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ভাটিবাড়ি আউটপোস্টের পুলিশ তাদের ডেকে পাঠায়। আচমকা পুলিশ ডেকে পাঠানোর পিছনে স্থানীয় তৃনমূল যুবনেতা রানা পালের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ। প্রাপ্ত বয়ষ্ক যুবক-যুবতীরা নিজেদের ইচ্ছায় বিয়ে করলে সেখানে সমস্যা কোথায়? সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করে। ভাটিবাড়ি আউট পোস্ট থেকে বেরিয়ে তাঁরা দুজনেই বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা উৎপল দাসের অভিযোগ, “শাসক দলের নেতারা,পুলিশ প্রশাসন নোংরা কাজ করছে। সংসার ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ওদের বিরুদ্ধে গন আন্দোলন হবে। মেয়ের বাড়ির লোকজনদের মদতে এসব করা হচ্ছে”। এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে মেয়ের বাড়ির সদস্যদের কোনও অসৎ লেনদেন হয়েছে কিনা সেই প্রশ্নও তোলেন তিনি। সরাসরি কাঠগড়ায় তুলেছেন ভাটিবাড়ির তৃণমূলের যুব নেতা রানা পালকে। এদিকে সদ্য বিবাহিতা যুগলের একজনের বয়স ২৮, অন্যজনরে বয়স ২৬ বলে জনা গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় স্বভাবতই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। যদিও ঘটনা প্রসঙ্গে মেয়ের বাড়ির সদস্য বিশেষ মুখ খুলতে চাননি।