দক্ষিণ দিনাজপুর: কেরলে খুনের অভিযোগ এক বাংলাদেশি যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, দক্ষিণের এই রাজ্য থেকে খুন করে দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিলেন তিনি। সে সময় অবৈধভাবে সীমান্ত পারের আগেই তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে হিলি পুলিশ। ধৃতের নাম আল মামুন (৩২)। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বালুরঘাট জেলা আদালতের অতিরিক্ত নগর ও দায়রা আদালতের ফ্রাস্ট ট্র্যাক কোর্টে তোলা হয়। অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন এই কোর্টের বিচারক রিম্পা রায়। তাঁকে বৈদেশিক আইন অনুযায়ী পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরও ছ’ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় আদালত।
আদালত সূত্রে খবর, ২০১৭ সালের ১ নভেম্বর আল মামুন হিলি সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এদিকে বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরে হিলি পুলিশ মামলাও করে। এদিকে ধৃতের বিরুদ্ধে বিস্তারিত খোঁজ খবর করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, সে কেরলে একটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত। এরপরই কেরল পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং আল মামুনকে হেফাজতেও নেয় কেরল পুলিশ। এর পর থেকে ত্রিশূরে বিচারাধীন বন্দি হিসাবে ছিলেন তিনি। এদিকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে অবৈধভাবে ঢোকার কারণে হিলি থানা যে মামলা দায়ের করেছিল সেই মামলায় শুক্রবার দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী বলেন, “২০১৭ সালের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশের নাগরিক আল মামুন একটি কেরলে খুনের ঘটনা ঘটান। ১ নভেম্বর ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পালানোর চেষ্টা করছিলেন। হিলি থানার পুলিশ ধরে ফেলে। বৈদেশিক আইনে মামলা হয়। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল। তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। কেরল পুলিশও এদিন ধৃতকে কোর্টে তোলে। আপাতত তাঁকে কেরলে নিয়ে যাবে। সেখানেই বিচার চলবে।”