দক্ষিণ দিনাজপুর: বন্ধুরা সকলে চাকরি পেয়ে গিয়েছে। সংসারও করছে। কিন্তু বহু চেষ্টা করেও ভাগ্যের চাকা কোনওভাবেই ঘোরাতে পারছিলেন না। বালুরঘাটের সন্তু লাহা (৩৮)। বাড়ছিল হতাশা। ঘরের ভিতর গুমরে থাকতেন, কারও সঙ্গে মিশতেনও না। এরইমধ্যে বুধবার তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট শহরের মঙ্গলপুর এলাকায় বাড়ি সন্তুদের। বুধবার বিকেলে বাড়িতে কেউ ছিল না। অভিযোগ, সেই সুযোগকেই কাজে লাগান তিনি। গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরেই ঝুলে পড়েন। পরে বাড়ির লোকজন এসে সে দৃশ্য দেখে থানায় খবর দেয়। বালুরঘাট থানার পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়।
সন্তুর এক আত্মীয় সমীর লাহা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই ভাই অবসাদে ভুগছিল। বন্ধুরা চাকরি করছে, বিয়ে করেছে। ও চাকরি না করার জন্য বিয়েও করতে পারছিল না। খারাপ লাগা কাজ করত। বাড়ি থেকে বেরোতোই না। পড়াশোনায় খারাপ ছিল না। গিটার বাজাত। চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছিল। কিন্তু কপাল কিছুতেই খুলছিল না। বন্ধুদের থেকেও নিজেকে সরিয়ে নেয়। এরপরই বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটাল।”
সন্তুর বাড়ির লোকজনের কথায়, খুব চেষ্টা করছিল চাকরির জন্য। ভেবেছিল, কলকাতায় গিয়ে যদি কিছু হয়। সেখানেও গিয়ে থেকেছে চার বছর। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কোর্সও করেছে। বহু পরীক্ষা দিয়েছে। ক্রমেই হতাশায় ডুবে যাচ্ছিল ছেলেটা। যত দিন যাচ্ছিল চাকরির জন্য মরিয়া হয়ে উঠছিলেন তিনি। কিন্তু কিছুতেই কোথাও কিছু হচ্ছিল না। সেই হতাশায় এই ঘটনা বলে পরিবারের দাবি।