বারুইপুর: ‘তৃণমূলের নেতাদের সরিয়ে সিপিএম জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করছে।’ সইফুদ্দিন খুনে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক বিভাস সর্দারের। সইফুদ্দিন খুনে ইতিমধ্যেই আনিসুর রহমান লস্কর ও কামাল উদ্দিন ঢালি নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে আনিসুর এলাকায় সক্রিয় সিপিএম কর্মী বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে খুনের পিছনে আনিসুরের হাত রয়েছে বলে আগে একাধিকবার দাবি করেছেন বিভাস। আনিসুর গ্রেফতার হতেই ফের ফুঁসে উঠলেন তিনি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “আমি বারুইপুরের পুলিশ সুপারকে এই খুনের ঘটনায় দোষীদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতার করার জন্য ধন্যবাদ জানাব। এর পিছনে আরও ষড়যন্ত্র রয়েছে, আরও দোষী রয়েছে, তাঁদেরও ধরা হোক। আমি একাংশ শতাংশ নিশ্চিত এর পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে।”
এরপরই বামেদের কাঠগড়ায় তুলে বিভাস বলেন, “আনিসুর রহমান সিপিএমের একজন কর্মী। সইফুদ্দিন লস্কর তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের নেতাকে মারছেন সিপিএমের কর্মী। আর সুজন-কান্তিবাবুরা তাঁরা খুনি আনিসুরের বাড়ি যাচ্ছে। তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। এদিকে যে খুন হয়েছে তাঁর পরিবারের প্রতি কোনও সৌজন্যবোধ দেখাচ্ছেন না। কিন্তু, খুনির বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন। এখানে তো পরিষ্কার যে খুনিকে সমর্থন করছেন কান্তিবাবু, সুজনবাবুরা। আমি প্রথম থেকেই বলে আসছি এর পিছনে ষড়যন্ত্র আছে। তাই এই খুন অবশ্যই রাজনৈতিক। আসলে তৃণমূলের নেতাদের সরিয়ে সিপিএম জায়গা তৈরি করার চেষ্টা করছে। এ ঘটনা তাই প্রমাণ করছে।” যদিও সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী আগেই দাবি করেছেন চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছে আনিসুরকে। খানিক একই সুর শোনা গিয়ছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের গলায়। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফসল এটা। সে কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। সিপিআইএম এবং আইএসএফ কর্মীদের বেছে বেছে বাড়ি পোড়ানো হয়েছে।