তমলুক: রাজ্য ভাগের বিতর্কে বিগত কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। এবার এই ইস্যুতেই একযোগে তৃণমূল-বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (CPM leader Sujan Chakraborty)। “মুখ্যমন্ত্রী যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন তখন বলতেন উত্তরে কামতা ,দক্ষিণে মমতা তখন বিষয়টিকে উস্কেছেন, এখন বিজেপি প্রশয় দিচ্ছে”। এদিন তমলুকে গিয়ে এ ভাষাতেই মমতাকে তোপ দাগেন তিনি। একইসঙ্গে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন তিনি। কেকে-র অনুষ্ঠান থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে তীব্র কটাক্ষবান শানাতে দেখা যায় তাঁকে।
মঙ্গলবার বিকালে রাজ্যের সিপিআই(এম)’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা রাজ্য সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী জেলা সিপিআইএম কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বৈঠকে বসেন। সেখানেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির লাগাতার অবনতি নিয়ে ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে মমতার সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উচিৎ অবিলম্বে পুলিশ মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা। কারণ, এখন ভবানীপুরে ৩৫টি প্লটের মালিকের দুয়ারে খুন হচ্ছে। রাজ্যে একাধিক দুর্নীতি সহ দুয়ারে সরকার, দুয়ারে বোম, দুয়ারে সন্ত্রাস, দুয়ারে দুর্নীতি সহ একাধিক অপকর্মের অধিকারী এই সরকার। বাম আমলে কোথায় ছিল এই কামতাপুরী,তখন ইনি বিরোধী নেত্রীর জায়গা থেকে বলতেন উত্তরে কামতা এবং দক্ষিণে মমতা। তখন উস্কেছেন এখন পস্তাছেন”।
এখানেই না থেমে সুজন আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সব সময় মিথ্যা কথা বলেন,উনি বিভিন্ন সময় নানা রকম কথা বলেন। উনি বলছেন আমাকে বন্দুক ঠেকিয়েছে, এটা কত বড় কথা মুখ্যমন্ত্রীর ধারণা আছে? রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এত নিরাপত্তা সত্ত্বেও এ কথা ? আমি মনে করি উনি সত্য কথা বলছেন না। রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি, ব্রাত,পার্থ,পরেশ,আবারa ব্রাত, সব আমলেই দূর্নীতি হয়েছে। তৃণমূল থেকে বিজেপি, আবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে যাওয়া-আসার পালা। এখন লকেট বলবেন হয়ত দম বন্ধ হয়ে আসছে কিছু দিন পর। তৃণমূল কর্মীদের উপর রাগ করে মুকুল,শুভেন্দু,অর্জুন ,রাজীব দল ছাড়েনি তারা ছেড়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর রাগ করেই”। অন্যদিকে কেকে-র মৃত্যু নিয়েও তোপ দাগেন সুজন। এদিন চাঁচাছালা প্রশ্নবান শানিয়ে সুজন বলেন, “কেকে-র মৃত্যুতে যিনি জনস্বার্থ মামলা করেছেন তাঁকে ধন্যবাদ। ২০১৭ সাল থেকে তো নির্বাচনই হয়নি তাহলে কিসের ছাত্র সংসদ? কারা আয়োজন করল অনুষ্ঠানের? অনুষ্ঠানের জন্য ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকা কোথা থেকে এল?