পূর্ব মেদিনীপুর: পর্যটকদের মোটামুটি ভিড় ছিল। মৎস্যজীবীরা তখন সবেমাত্র সমুদ্র থেকে ফিরেছেন। হঠাৎই চোখ পড়ে বালির মধ্যে কী যেন একটা চলে বেড়াচ্ছে! কোনও জলজ প্রাণী তো সে নয়। দূর থেকে বালির মধ্যে তখনও তাঁরা বিষয়টা বুঝতে পারেননি। কাছে যেতেই শরীর দিয়ে বয়ে যায় হিমস্রোত! এ তো আস্ত কুমির। সমুদ্রের পাড়ে কুমির, তাল মেলাতে পারছিলেন না তাঁরা।
এবার সমুদ্র সৈকতে কুমির দর্শন! দীঘার অদূরে তালসারি সমুদ্র সৈকতে হঠাৎ করেই মৎস্যজীবীরা দেখতে পান কুমিরটিকে। প্রথমেই ঘড়িয়াল ভেবেছিলেন মৎস্যজীবীরা। পরে কাছে গিয়ে তাঁরা দেখেন সেটি কুমিরই। সৈকতে শেষ কবে কুমির দেখা গিয়েছে, তা স্মৃতি হাতড়েও ঠাওর করতে পারছিলেন না মৎস্যজীবীরা। খবর পেয়ে ততক্ষণে সৈকতে হাজির স্থানীয় বাসিন্দারাও। চক্ষু চড়কগাছ সকলের।
তালসারির সমুদ্র সৈকতে বেশ কয়েকজন পর্যটকও ছিলেন। সপ্তাহান্তে এমনিতেই সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড় থাকে। কুমির দেখার জন্য রীতিমতো ভিড় জমে যায় তাল সারিতে। খবর দেওয়া হয় বনদফতরকে। কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়। কুমিটির প্রায় ১০ ফুট লম্বা।
কিছুদিন আগেই কালনায় বাড়ির সামনে পৌঁছে গিয়েছিল কুমির। এপাড়া ওপাড়া ঘুরে বেরোয়। ভাগীরথী নদী সংলগ্ন গ্রাম পালপাড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল কুমিরটি। এইভাবে লোকালয়ে কুমির ঢুকে পড়ার বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বনদফতর।