দাঁইহাট: শীতের রাত। পরনে সাদা কুর্তা-পাজামা ও শাল, মাথায় টুপি দিয়ে রাস্তায় টহল দিচ্ছেন দাঁইহাটের পুরপ্রশাসক। তবে শুধু ঘুরছেন বললে ভুল হবে। কে বা কারা রাস্তা খুঁড়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তিনি। আর সেই সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছেন এলাকাবাসীর উদ্দেশে। চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের ঘটনাস্থলে আসতে হবে। তাদের জেলে না পুরতে পারলে পুরসভার চেয়ারম্যানের পদই ছেড়ে দেবেন বলে হুঙ্কার দান তিনি। পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডলের এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে মত্ত অবস্থায় সবাইকে অকথ্য গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছেন পুরপ্রশাসক। তাই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মৌখিক অভিযোগও জানিয়ে এসেছেন। এদিকে বিরোধীদের কটাক্ষ, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের যৌন নির্যাতনের শিকার নাবালিকা, অভিযুক্ত ‘পাড়ার কাকু’
ঠিক কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রের খবর, দাঁইহাট শহরের বকুলতলায় একটা নতুন রাস্তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। ভাঙাচোরা রাস্তায় বারবার ছোটখাটো দুর্ঘটনা হলেও প্রশাসন কোনও ভ্রুক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ তাঁদের। তাঁদের কথায়, পুরসভার চেয়ারম্যান নিজে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাস্তা সারাতে কোনও উদ্যোগ নেননি তিনি। তাই পুরসভার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে এলাকাবাসীরাই ওই রাস্তা খোঁড়েন। আর তারপরেই রাতের অন্ধকারে সেখানে যান দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় এলাকাবাসীর বাপ-বাপান্ত করেন তিনি। হুমকি, হঁশিয়ারি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যায়, শিশিরবাবুকে কয়েকজন সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদেরও ধমক দিচ্ছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতর। এলাকাবাসীরা পুরপ্রশাসকের নামে থানায় মৌখিক অভিযোগও জানিয়েছেন।
এ নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, এই পুরপ্রশাসক ও মাতালের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সিপিএম বলছে, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। এদিকে যাঁর ভিডিয়ো নিয়ে স্থানীয় রাজনীতি তোলপাড় সেই পুরপ্রশাসককে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশকে প্রশ্ন করা হলে তারাও নিরুত্তর থেকেছে। রবিবার পুর প্রশাসক শিশির মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া নিতে তাঁর বাড়িতে গেলে দেখা যায় দরজায় তালা ঝুলছে। ফোনও বন্ধ।
দাঁইহাট: শীতের রাত। পরনে সাদা কুর্তা-পাজামা ও শাল, মাথায় টুপি দিয়ে রাস্তায় টহল দিচ্ছেন দাঁইহাটের পুরপ্রশাসক। তবে শুধু ঘুরছেন বললে ভুল হবে। কে বা কারা রাস্তা খুঁড়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তিনি। আর সেই সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ করছেন এলাকাবাসীর উদ্দেশে। চ্যালেঞ্জ ছুড়ছেন যে বা যারা এই কাজ করেছে তাদের ঘটনাস্থলে আসতে হবে। তাদের জেলে না পুরতে পারলে পুরসভার চেয়ারম্যানের পদই ছেড়ে দেবেন বলে হুঙ্কার দান তিনি। পূর্ব বর্ধমানের দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডলের এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে মত্ত অবস্থায় সবাইকে অকথ্য গালিগালাজ ও হুমকি দিয়েছেন পুরপ্রশাসক। তাই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মৌখিক অভিযোগও জানিয়ে এসেছেন। এদিকে বিরোধীদের কটাক্ষ, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি।
আরও পড়ুন: কলকাতায় ফের যৌন নির্যাতনের শিকার নাবালিকা, অভিযুক্ত ‘পাড়ার কাকু’
ঠিক কী ঘটেছিল?
স্থানীয় সূত্রের খবর, দাঁইহাট শহরের বকুলতলায় একটা নতুন রাস্তার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয়রা। ভাঙাচোরা রাস্তায় বারবার ছোটখাটো দুর্ঘটনা হলেও প্রশাসন কোনও ভ্রুক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ তাঁদের। তাঁদের কথায়, পুরসভার চেয়ারম্যান নিজে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও রাস্তা সারাতে কোনও উদ্যোগ নেননি তিনি। তাই পুরসভার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে এলাকাবাসীরাই ওই রাস্তা খোঁড়েন। আর তারপরেই রাতের অন্ধকারে সেখানে যান দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান শিশির মণ্ডল। অভিযোগ, মত্ত অবস্থায় এলাকাবাসীর বাপ-বাপান্ত করেন তিনি। হুমকি, হঁশিয়ারি কোনও কিছুই বাদ যায়নি। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যায়, শিশিরবাবুকে কয়েকজন সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাঁদেরও ধমক দিচ্ছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতর। এলাকাবাসীরা পুরপ্রশাসকের নামে থানায় মৌখিক অভিযোগও জানিয়েছেন।
এ নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের কটাক্ষ, এই পুরপ্রশাসক ও মাতালের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। সিপিএম বলছে, এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। এদিকে যাঁর ভিডিয়ো নিয়ে স্থানীয় রাজনীতি তোলপাড় সেই পুরপ্রশাসককে বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশকে প্রশ্ন করা হলে তারাও নিরুত্তর থেকেছে। রবিবার পুর প্রশাসক শিশির মণ্ডলের প্রতিক্রিয়া নিতে তাঁর বাড়িতে গেলে দেখা যায় দরজায় তালা ঝুলছে। ফোনও বন্ধ।