হিলি: বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের আগে বাংলাদেশি নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার দেড় কোটি টাকার সোনা। পাচারের আগেই পাচারকারীদের বড়সড় ছক বানচাল করল হিলি শুল্ক দফতর। বুধবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে তল্লাশি চালিয়ে বড় সাফল্য পায় শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর প্যান্টের পিছন পকেট থেকে ৯ টি বাটে প্রায় ৩ কেজি সোনা উদ্ধার করে গোয়েন্দারা। ঘটনায় বাংলাদেশি নাগরিক এবং এক ভারতীয় যাত্রীকে আটক করেছে হিলি শুল্ক দফতর। উদ্ধার হওয়া সোনার বাজার মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
জানা গিয়েছে, সোনা-সহ ধৃত বাংলাদেশি ওই যুবকের নাম মন্টু ভদ্র(৩৪) ও ভারতীয় ওই যুবকের নাম সুমিত ঘোষ (২৮)। সুমিতের বাড়ি কলকাতার বেলঘরিয়ায়। বুধবার সকালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করে এক বাংলাদেশি এবং এক ভারতীয় যুবক। হিলি আন্তর্জাতিক স্থলবন্দরে ওই ২ যুবককে সন্দেহজনক ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে শুল্ক দফরের গোয়েন্দারা। এর পর বাংলাদেশি যুবকের দেহে তল্লাশি চালালে প্যান্টের পিছনে পকেট থেকে সোনার ৯ টি বাট উদ্ধার হয়। ততক্ষণে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় বাংলাদেশি ওই যুবকের সঙ্গী ভারতীয় যাত্রী। তড়িঘড়ি তল্লাশিতে নেমে ভারতীয় ওই পাসপোর্ট যাত্রীকে হিলি বাসট্যান্ডে বালুরঘাটগামী বাস থেকে আটক করে গোয়েন্দারা। দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে শুল্ক দফতরের শীর্ষ কর্তারা। ধৃত দু’জনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে সোনা পাচারের যুক্ত শিকড়ের সন্ধান করছেন গোয়েন্দা কর্তারা।
তল্লাশির পরে প্রাথমিক আইনি প্রক্রিয়া শেষ করেছে শুল্ক দফতর। উদ্ধার হওয়া ৯টি সোনার বাটের ওজন ২ কেজি ৯৮১ গ্রাম। যার বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। সোনা বাটগুলি বাজেয়াপ্ত করে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তারা। তদন্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বৃহস্পতিবার বালুরঘাট জেলা আদালতে ধৃত দুই যুবককে পেশ করবে শুল্ক দফতর।
যদিও এ নিয়ে ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি হিলি শুল্ক দফতরের সুপারিন্টেন্ডেন্ট দেবরাজ সন্যাল। তবে তিনি জানিয়েছেন, পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।