পতিরাম : গুরুতর অভিযোগ উঠল বালুরঘাটের বিডিও-র বিরুদ্ধে। এবার পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজে অসহযোগিতা করার অভিযোগ বিডিও-র বিরুদ্ধে। সোমবার এই বিষয়ে অভিযোগ নিয়ে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হন পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান ঠুমকি পাহান রাজপুত। লিখিত অভিযোগ জানান জেলাশাসক, জেলা সদর মহকুমাশাসক এবং ডিপিআরডিও আধিকারিককে। শুধুমাত্র কাজে অসহযোগিতা করা নয়, নানা রকম ভাবে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বালুরঘাটের বিডিও অনুজ শিকদারের বিরুদ্ধে। এদিকে অভিযোগ পেতেই পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকরা। যদিও পুরো ঘটনার কথা অস্বীকার করেছেন বালুঘাটের বিডিও অনুজ শিকদার। তবে এই বিষয়ে তিনি ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির বোর্ড রয়েছে। যেখানে প্রধান রয়েছেন ঠুমকি পাহান রাজপুত। এই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে বিজেপিও আবার কাজের ক্ষেত্রে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছে। তবে এবার কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বালুরঘাটের বিডিওর বিরুদ্ধে। বিভিন্নভাবে তাঁদের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এরপরই বিষটি নিয়ে জেলাশাসক এবং জেলার অন্যান্য আধিকারিকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান পঞ্চায়েত প্রধান।
পঞ্চায়েত প্রধান ঠুমকি পাহান রাজপুতের বক্তব্য, বালুরঘাটের বিডিও নানা ভাবে অসহযোগিতা করছেন। কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি বিডিও-র সঙ্গে কীভাবে কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা ও দেখা করতে এলেও খারাপ ব্যাবহার করা হয়। তাঁরা জানতে এসেছিলেন কীভাবে পঞ্চায়েতের উন্নয়নের কাজ করা যায়, সেই সময়ে তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যাবহার করা হয় বলে অভিযোগ। পতিরাম গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা জয়শ্রী ঘোষ মালাকার বলেন, যেভাবে বালুরঘাটের বিডিও তাঁদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন ও হুমকি দিয়েছেন সেই জায়গা থেকে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। এমনকী আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট করাবেন, এমন কথাও বলেছেন বলে অভিযোগ
এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “এই বিডিওর নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। একজন সরকারি আধিকারিক কীভাবে সরকারি পদে বসে দাঁড়িয়ে থেকে ভোট করাবেন ও বিজেপিকে হারাবেন বলতে পারেন? এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এই আশা রাখছি।”
তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকির বক্তব্য, পতিরাম পঞ্চায়েত কোনও কাজ করছে না। এই নিয়ে তাঁরা একাধিকবার সরব হয়েছেন। এমনকি লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন। তারা (বিজেপি) যে অভিযোগ করছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা৷ তবে বিডিও কী বলেছেন, সেই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সুভাষ চাকি। এই বিষয়ে তিনি জানান, সেই সময় তাঁরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাই কী কথা হয়েছে, তা বলা মুশকিল। তবে এমন কিছু ঘটনা ঘটলে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রশাসন সব খতিয়ে দেখবে।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা জানিয়েছেন, এই নিয়ে প্রধানের কোনও অভিযোগ থাকলে, সেই বিষয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ এলে তিনি তা খতিয়ে দেখবেন। ভোট নিয়ে এমন কোনও মন্তব্য করার কথা নেই। বিডিও এমন কোনও মন্তব্য করেছেন কি না তা বিডিও-র কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।