বালুরঘাট: “হারাধরনের ৭৭ ছেলে ছিল। এখন ৬৮ টা আছে। দিদি যদি দরজা খোলে তাহলে সেটাও থাকবে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(BJP state president Sukanta Majumder) তো তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন করতেন। তিনি আমাদের মিটিং মিছিলে যেতেন। তাঁকে একদিন বিজেপি টিকিট দিল জিতেও গেলেন এবং রাজ্য সভাপতি হলেন। ছবি-টবিও রয়েছে উনি তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন করতেন। মঙ্গলবার বিকেলে বালুরঘাট ক্লাব সংগ্রহ মাঠে একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় এমনভাবেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে বিঁধলেন তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য ( TMC Spokesperson Debangshu Bhattacharya)।
এখানেই না থেমে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে দেবাংশু আরও বলেন, “ওনাকে যদি বিজেপি টিকিট না দিত, তাহলে সভাপতি হওয়াও হত না। ওনার মনেও তো মমতা ব্যানার্জি সম্পর্কে ভক্তি ঢুকে আছে। দেখবেন মুখে বলতে পারেন না। ঠিক যেমন হনুমান বলেছিল বুক চিরলে রাম সীতা আছে। আমাদের বিশ্বাস তিনিও যদি তার বুক চিরে দেখান তার ভেতরে মমতা ব্যানার্জির আছে৷ সবাইকে একদিন দিদির তলতলে আশ্রয় নিতে হবে।” প্রসঙ্গত, একুশে জুলাইকে সামনে রেখে মঙ্গলবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বালুরঘাট ক্লাব সংলগ্ন মাঠে জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হল। যেখানে হাজির ছিলেন রাজ্য যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য। এছাড়াও হাজির ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি উজ্জ্বল বসাক, চেয়ারম্যান নিখিল সিংহ রায়, যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি অম্বরিশ সরকার, মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী, প্রাক্তন মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তী, ডিপিএসসির চেয়ারম্যান সন্তোষ হাঁসদা, সুভাষ চাকি সহ অন্যান্য জেলা তৃণমূল নেতৃত্বরা। সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে গিয়ে সুকান্তকে একহাত নেন দেবাংশু।
এদিনের এই প্রস্তুতি সভা থেকে কেন্দ্র সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও তীব্র আক্রমণ শানান দেবাংশু। কটাক্ষবান শানিয়ে তিনি বলেন, “কারও নামে কোনও প্রকল্প হলে সেই নাম মানবে না বাংলা। কারণ বাংলায় কারও নামে প্রকল্প হয় না। আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা ৮০ টাকা কেন্দ্র দিত, আর রাজ্য দিত ২০ টাকা। কিন্তু মোদী এসে সেই টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন কেন্দ্র দেয় ৬০ টাকা ও রাজ্য দেয় ৪০ টাকা। তাহলে বাংলার মানুষের টাকায় প্রকল্পের নাম কোনও নেতার নামে কেন হবে? তাহলে করা হোক ভারতবর্ষে আবাস যোজনা। তাহলে আমাদের কোনও আপত্তি নেই সেই নাম রাখতে।”