দক্ষিণ দিনাজপুর: মাটি খুঁড়ে কবর থেকে তোলা হল আদিবাসী বৃদ্ধের দেহ। হরিরামপুর থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত প্রশাসনের। জানা গিয়েছে, গত ১৬ তারিখ হরিরামপুরের গৌড়দিঘি গ্রামের কুদাই সোরেন (৬৬) মারা যান। বুকে ব্যথা নিয়ে মারা যান তিনি। এরপরই তাঁর সম্প্রদায়ের রীতি মেনে দেহ মাটির নিচে কবর দেওয়া হয়। এদিকে ঘটনার দু’দিন পর এই মৃত্যু অস্বাভাবিক বলে অভিযোগ দায়ের হয়। কুদাই সোরেনের মৃত্যুর পিছনে খুনের অভিযোগ তোলা হয়। আর সে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের বড় ছেলে সাহেব সোরেন। অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্তে নামে পুলিশ।
শনিবার দেহটি তোলার পর তা ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এদিন ম্যাজিস্ট্রেট, হরিরামপুর থানার আইসি অভিষেক তালুকদার ও বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয় দেহ। অভিযোগ, দিন কয়েক আগে রাস্তায় একজনের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি হয়। তিনি কুদাইয়ের গায়ে হাতও তোলেন বলে অভিযোগ তাঁর ছেলের। ছেলের দাবি, এই মারধরের বিষয়টি প্রথমে জানা ছিল না। বাবার শেষকৃত্যের পর গ্রামের দু’জন ঝামেলার কথাটি বলেন। তারপরই থানায় অভিযোগ দায়ের।
আপাতত দেহটি উদ্ধার করে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হরিরামপুর থানার পুলিশ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে। গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “মৃতের ছেলে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই দেহটি কবর থেকে তোলা হয়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”