বালুরঘাট: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে প্রেমিকাকে ‘খুন’। প্রেমিকাকে খুনের প্রায় ছ’মাস পর অভিযুক্তকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করল বালুরঘাট থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে অভিযুক্তকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয়। ধৃতের নাম বিপুল মুখিয়া(৩২)। বুধবার ধৃতকে বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়। ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। ধৃতের বাড়ি বালুরঘাট শহরের আনন্দ বাগান মাস্টারপাড়া এলাকায়। ধৃত যুবক খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ জানিয়েছেন। ধৃতের কাছ থেকে প্রেমিকার মোবাইল-সহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে৷
জানা গিয়েছে, গত ৩১ অগস্ট ২০২২ সালে বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলআইসি অফিস সংলগ্ন এলাকায় বদ্ধ ঘর থেকে মৌসুমী মণ্ডল নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি ওই এলাকায় বাড়ি ভাড়া করে থাকতেন। বাপের বাড়ি চকভৃগু এলাকাতে৷ ২০০৯ সালে শান্তিপুরের সুদীপ বিদ্যান্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মৌসুমির। তাঁদের একটি সাত বছরের সন্তান রয়েছে। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। ছেলেকে নিয়ে চকভবানী এলাকায় ভাড়া বাড়িতেই থাকতেন তিনি। গত ৩১ অগস্ট ২০২২ সাল সকালে ছেলেকে স্থানীয় একটি বেসরকারি স্কুলে দিয়ে পুনরায় বাড়িতে ফিরে আসেন মৌসুমী। স্কুল ছুটির পর বাচ্চাকে স্কুলে না নিতে এলে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাঁর মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেন। তবে কোনও উত্তর মিলেনি। এরপর প্রতিবেশী এক মহিলাকে ফোন করে জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেশী মহিলা মৃত ওই গৃহবধূর স্বামীকে বিষয়টি জানান। স্বামী বিষয়টি তাঁর শ্বশুরবাড়িতে জানানোর পর পরিবারের সদস্যরা গিয়ে দেখেন, বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁদের মেয়ে। এদিকে ঘরের ভেতরে আলমারি, শোকেজে চাবি লাগানো ছিল। সেক্ষেত্রে লুঠ হওয়ারও কোনও সম্ভাবনা ছিল না। গলায় দাগ থাকায় খুনের সন্দেহ করে পরিবার৷ এই খুনের ঘটনায় প্রেমিক বিপুলের নাম উঠে আসে। তবে ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। অবশেষে মঙ্গলবার তাঁকে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয়।