দক্ষিণ দিনাজপুর: অনেক ডেকেও প্রতিবেশীরা সাড়া পাচ্ছিলেন না। বাইরে থেকে বন্ধ ছিল ঘরের দরজা। কিন্তু জানালা খোলা ছিল। তা থেকেই প্রতিবেশীরা দেখতে পান খাটের ওপর পড়ে রয়েছে বধূর দেহ। তাঁরাই খবর দেন থানায়। বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক গৃহবধূর দেহ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলআইসি অফিস সংলগ্ন এলাকায়। মৃতার নাম মৌসুমি মণ্ডল(৩১)। বাবার বাড়ি বালুরঘাটের চকভৃগু এলাকায়।
২০০৯ সালে শান্তিপুরের সুদীপ বিদ্যান্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মৌসুমি মণ্ডলের। মৌসুমীর বিয়ে হয়েছিল শান্তিপুরে। স্বামী সুদীপ বিদ্যান্ত পেশায় বেসরকারি কর্মী। বর্তমানে কর্মসূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতে থাকেন। তাঁদের সাত বছরের সন্তান রয়েছে। এক সন্তানকে নিয়ে চকভবানী এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন মৌসুমী। বুধবার সকালে সন্তানকে স্কুলে দিতেও গেছিলেন। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছে, বিকালে আর ছেলেকে স্কুল থেকে আনতে যাননি তিনি। স্কুল থেকেও ফোন করা হয় বাচ্চাটার পরিবারকে। তাঁর বাবা মা ভাড়া বাড়িতে এসে দেখেন মেয়ের মৃতদেহ।
বাড়ির বাইরের গেটের তালা লাগানো ছিল বলে দাবি মৃতের পরিবারের। এমনকি যে ঘর থেকে দেহটি উদ্ধার হয়, সেই ঘরের দরজাতেও ছিটকিনি লাগানো ছিল। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। পরে দেহটি উদ্ধার করে পুলিশ বৃহস্পতিবার তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। গলায় ক্ষত চিহ্নও রয়েছে।
ঘরের ভিতরে আলমারি, শোকেসে চাবি লাগানো ছিল। খতিয়ে দেখা হচ্ছে আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ। খুন না অন্য কিছু, তার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ওই গৃহবধূকে এক যুবকের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই এলাকায় দেখা যেত। ওই যুবক ফাঁকা বাড়িতে গৃহবধূর সঙ্গে দেখা করতেও আসতেন বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। পুলিশ ওই যুবকের খোঁজ করছে।