Balurghat: চাকরি দেওয়ার নামে ‘প্রতারণা’, কাঠগড়ায় তৃণমূলের যুব সভাপতি

Rupak Sarkar | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Nov 26, 2024 | 10:02 AM

Balurghat: অম্বরিশ সরকার রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্রের দায়িত্বে রয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রদবদলের সম্ভাবনা জোরাল হয়েছে। জেলার এমন হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে।

Balurghat: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, কাঠগড়ায় তৃণমূলের যুব সভাপতি
চাকরি নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বালুরঘাট:  চাকরি দেওয়ার নাম করে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ। কাঠগড়ায় দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূলের যুব কংগ্রেস সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি অম্বরিশ সরকারের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি মহকুমা আদালতের মাধ্যমে কুশমণ্ডী থানায় মামলা দায়ের করেছে কলকাতার এক ব্যক্তি। অভিযোগ, গ্রুপ ডি-র চাকরি করিয়ে দেওয়ার নামেই ওই টাকা নেওয়া হয়েছে। যদিও বা অভিযোগ দায়েরের পর ওই মামলাকারী প্রকাশ্যে আসেননি।

অম্বরিশ সরকার রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্রের দায়িত্বে রয়েছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় রদবদলের সম্ভাবনা জোরাল হয়েছে। জেলার এমন হেভিওয়েট নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগে শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। এদিকে গতকাল বিষয়টি নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে অম্বরিশ সরকার এমন অভিযোগ পুরোপুরি ভাবে অস্বীকার করে। এমনকি এই অভিযোগের পেছনে বিরাট ষড়যন্ত্র দেখছে বলেই তিনি জানিয়েছে। অন্য কোন দল নয়, নিজের দলের নেতারাই এমন ষড়যন্ত্র করেছে বলেই অম্বরিশ জানিয়েছে৷ নাম না করে মন্ত্রী গোষ্ঠীর দিকেই আঙুল তুলেছে অম্বরিশ সরকার।

যদিও বা রাজ্যের মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন আমি কলকাতায় রয়েছি। এসব কিছুই জানা নেই। কোন দিকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “সম্পূর্ণ বিষয়টিতে ধোঁয়াশা রয়েছে। আপনাদের কাছ থেকে বিষয়টি প্রথম শুনলাম। যিনি বলছেন দলের কেউ করেছে তিনি সঠিক তথ্য প্রমাণ দিয়ে আমাদেরকে জানালে দল সবটা খতিয়ে দেখে রাজ্য নেতৃতকে জানাব।”

এদিকে সুকান্ত মজুমদারের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টের পরই অম্বরিশ সরকার তার ফেসবুকে পোস্ট করেছেন। তাঁর দাবি, তৃণমূলেরই কেউ এই কাজের সঙ্গে যুক্ত, যারা ২০১৯ সালে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বিজেপির হাত ধরেছিল। তাই এই ষড়যন্ত্রের পেছনে বিজেপির প্রাক্তন কোন নেতাই জড়িত বলে অভিযোগ। সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে হাত মিলিয়েই তৃণমূলের নেতারা এই কাজ করেছে বলেই দাবি অম্বরিশের। কার্যত নাম না করে জেলার বর্ষিয়ান নেতা তথা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র ও তার গোষ্ঠীর দিকেই এই দায় ঠেলেছে। যদিও বা পালটা এনিয়ে বিপ্লব মিত্র কিছুই বলতে চাননি।

Next Article