গঙ্গারামপুর: গৃহবধুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল। তরুণীর বাপের বাড়ির লোকজনের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে গঙ্গারামপুর থানার বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। মৃতার নাম রেনুকা পারভিন (১৮)। স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর চারেক আগে বাসুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলস্থলী এলাকার বাসিন্দা আরিভ মিঞার সঙ্গে বিয়ে হয় রেনুকার। বাড়িতে তাঁদের একটি ছেলেও রয়েছে। কিন্তু, বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে তাঁদের মেয়ের উপর লাগাতার অত্যাচার চালাতো তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। শারীরিক নির্যাতন তো চলতই সঙ্গে ছিল মানসিক নির্যাতনও।
বাপের বাড়ির লোকজন ঘটনা জানতে পেরে একাধিকবার মীমাংসারও চেষ্টা করে। দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কথাও হয়। অভিযোগ তারপরেও বদলায়নি পরিস্থিতি। এরইমধ্যে সোমার রেণুকার বাপের বাড়িতে তাঁর মৃত্যুর খবর আসে। জানানো হয় তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রথমে ঘটনা শুনে নিজেদের কানকে বিশ্বাস না করতে পারলেও রেণুকার আত্মীয়রা ছুটে যান তাঁর বাপের বাড়িতে।
বাপের বাড়ির লোকজনের স্পষ্ট অভিযোগ, মেয়ে নিজে আত্মহত্যা করেনি। তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। করেছে আরিভের বাড়ির লোকজন। খবর চাউর হতেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। খবর গিয়ে পৌঁছায় পুলিশের কাছে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর বিষয়ে যে ধোঁয়াশা রয়েছে তা অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে। অন্যদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন রেণুকার বাপের বাড়ির লোকজন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে।