বালুরঘাট: শীঘ্রই যে বালুরঘাট স্টেশন থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন চলাচল শুরু হবে সেই ঘোষণা করেছিলেন উত্তর-পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব। অবশেষে শুক্রবার মিলল ছাড়পত্র। তারপরই সামনে এল নতুন ট্রেনের সময়সূচি। টাইম টেবিল জানালো হলেও কবে থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে সে কথা এখনই জানানো হয়নি। অন্যদিকে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে আবার জেলার লোকজনের বেশ কিছু দাবির কথা জানালেন বালুঘারটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তবে রেলের নয়া উদ্য়োগে খুশির হাওয়া গোটা জেলাতেই।
জেলায় প্রথম রেল পরিষেবা মিলতে শুরু করে ২০০৪ সাল থেকে। প্রথমে একটা ট্রেন চললেও পরে ধীরে ধীরে আরও ট্রেন চালাচল করতে থাকে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট থেকে বর্তমানে পাঁচটি ট্রেন চলে। সবচেয়ে পুরনো গৌড় লিঙ্ক এক্সপ্রেস নিয়ে নানা যন্ত্রণা মানুষের রয়েছে। সন্ধ্যায় রওনা দিলেও মালদাতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে। ফলে ক্ষোভ বিক্ষোভ নিয়েই চলতে হয় যাত্রীদের। অন্যদিকে, কলকাতায় যাওয়ার সকালের তেভাগা এক্সপ্রেসটিও রোজ চলে না। আরেকটি হাওড়াও প্রতিদিন চলে না।
এছাড়াও কলকাতা যাওয়ার রিজার্ভেশন টিকিট থাকে না। এবারে সরাসরি বালুরঘাট-শিয়ালদহ ট্রেন পাবে জেলাবাসী। এই ট্রেনটি সরাসরি চলবে। প্রতিদিনই চলবে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
পাশাপাশি গৌড় এক্সপ্রেসও চলবে। তবে রেলের তরফে ওই গৌড় এক্সপ্রেসটি প্যাসেঞ্জার ট্রেন হিসেবে চালানোর চিন্তাভাবনা করছে রেল। রেলের তরফে জানা গিয়েছে, চলতি মাসেই বালুরঘাট রেল স্টেশনে রেলের জিএম এসে এই ট্রেনটি সহ আরও টেন চালুর আশ্বাস দিয়েছিলেন। তার মধ্যে বালুরঘাট শিয়ালদহ ট্রেনটি অনুমোদন দিল রেল। রেল সূত্রে খবর, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭ টা থেকে এই ট্রেনটি বালুরঘাট স্টেশন থেকে রওনা হবে। শিয়ালদহে পৌঁছাবে ভোর ৪ টা ২০ মিনিটে। অন্যদিকে, শিয়ালদহ থেকে ট্রেনটি ছাড়বে রাত সাড়ে ১০টায়। বালুরঘাটে পৌঁছাবে সকাল সাড়ে ৮ টায়।
এ বিষয়ে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষের জন্য আজ একটি অন্যতম খুশির দিন। অবশেষে বালুরঘাট – শিয়ালদহ রুটে নতুন একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের ছাড়পত্র দিল রেলমন্ত্রক। সপ্তাহে প্রতিদিন নিয়মিত বালুরঘাট – শিয়ালদহ লাইনে ট্রেনটি চলবে। আমি জেলাবাসীকে কথা দিয়েছিলাম এই ট্রেনটি চালুর ব্যাপারে। বালুরঘাট লোকসভার নাগরিকবৃন্দকে নতুন উপহার দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজি ও রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মহাশয়কে ধন্যবাদ জানাই।
তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বাংলার শাসকদল তৃণমূল। এ বিষয়ে জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, রেলের তরফ থেকে এমন ঘোষণা বহু হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে সেই ট্রেন চলেছে অনেক পরে৷ বালুরঘাট হাওড়া রেলের ক্ষেত্রেও এক বছর আগে ছাড়পত্র দিয়েছিল রেল। চলাচল করেছে এক বছর পরে।