Balurghat Suicide: মধ্যরাতে মাকে মেসেজ ছেলের, ভোরে উঠে মা যতক্ষণে দেখলেন, ততক্ষণে সব শেষ…
Balurghat Suicide: জুয়া খেলতে জমানো টাকা সবটাই শেষ হয়ে যায় তাঁর। এদিকে ঋণের পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায়, তা পরিশোধ করা কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে।
বালুরঘাট: পুজোর মধ্যে জুয়া খেলে ঋণ হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকা। যা মেটানো তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না৷ তাই মাকে ফোনে মেসেজ পাঠিয়ে আত্মহত্যা করলেন যুবক। বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে পরিবারে। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাটের রঘুনাথপুর এলাকায়। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বালুরঘাট থানার পুলিশ৷ পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়৷ মৃতের নাম সৌমেন পাল(২৬)। বাড়ি বালুরঘাট শহরের রঘুনাথপুর মন্দিরপাড়া এলাকায়। পেশায় বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলেছে জুয়ার আসর। যা নিয়ে আগেও সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা৷ এদিনের ঘটনার পর এবিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে সাফ জানিয়েছেন ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর ছাব্বিশের সৌমেন বাড়ির পাশেই একটি বেসরকারি কোম্পানিতে সেলসের কাজ করতেন৷ এলাকায় ভাল ছেলেই বলেই পরিচিত ছিল সে। পুজোর মধ্য আনন্দও করেছিল। এদিকে পুজোর আগে কাজ থেকে ভাল ইনসেন্টিভ মিলেছিল। কিন্তু পুজোর কয়েকদিন সেই টাকা দিয়ে জুয়া খেলেছিল সৌমেন।
জুয়া খেলতে জমানো টাকা সবটাই শেষ হয়ে যায় তাঁর। এদিকে ঋণের পরিমাণ এতটাই বেড়ে যায়, তা পরিশোধ করা কোন ভাবেই সম্ভব ছিল না তাঁর পক্ষে। তাই দু’দিন ধরে পরিবারের লোকদের সৌমেন বলেছিলেন তিনি চিন্তায় ছিলেন৷
দশমীর দিন আত্মীয় স্বজনদের ফোন করে খোঁজ খবর নিয়েছিলেন। এরপর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সৌমেন পাল তার মাকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করেন যে, তিনি তাঁদের ভালোর জন্য চরমতম সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এতে কারোর দোষ নেই।
অনেক টাকা ঋণ হয়ে গিয়েছে। তবে পরিবারকে মেসেজে এটাও তিনি জানিয়েছেন, যাতে তাঁর দুই বন্ধুকে কোনওভাবে জোগাড় করে ২০ ও ১৫ হাজার টাকা যেন দিয়ে দেন তাঁরা। মনে করা হচ্ছে, এরপরই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নেন। সকালে ঘর থেকে তাঁর গলায় ফাঁস লাগানো দেহ উদ্ধার হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বালুরঘাট শহরের সত্যজিৎ মঞ্চ এলাকায় চলছে জুয়ার আসর৷ সেখানে বাইরে থেকে যুবকরা আসছেন বহু যুবক এই ভাবে আগেও সব খুইয়েছেন।
মৃতের আত্মীয় জয়ন্ত মজুমদার বলেন, সৌমেনের ঋণ ছিল৷ তা পরিশোধ করা তার পক্ষ সম্ভব নয়৷ এনিয়ে সে তার মাকে মেসেজও করেছিল। পর দিন সকালে নিজের ঘর থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তবে ঠিক কি কারণে এই আত্মহত্যা তা নিয়ে তারাও সন্ধিহান। পুলিশ এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।