AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Baruipur: ছোট ছেলে বিজেপি নেতা, বাড়িতেই কুপিয়ে খুন তৃণমূল কর্মী বাবা-ভাইয়ের, বিস্ফোরক অভিযোগ

Baruipur: এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে মৃতের বাবা নিতাই বিশ্বাস ও ছোট ভাই সন্দীপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বারুইপুর পশ্চিম এক নম্বর মণ্ডল বিজেপির সভাপতি গৌতম চক্রবর্তীর অভিযোগ মৃতের বাবা ও ছোট ভাই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী।

Baruipur: ছোট ছেলে বিজেপি নেতা, বাড়িতেই কুপিয়ে খুন তৃণমূল কর্মী বাবা-ভাইয়ের, বিস্ফোরক অভিযোগ
রাজীবের বাড়ির ছবি Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 11, 2025 | 3:08 PM
Share

দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  বারুইপুরে মারধর করে খুনের অভিযোগ বিজেপির বুথ সভাপতিকে। অভিযুক্ত মৃতের বাবা ও ভাই। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম রাজীব বিশ্বাস (২২)। বিজেপির বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের ১২৯ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন  রাজীব।

বিজেপির অভিযোগ, ৮ অগস্ট রাতে বিজেপি দল করার অপরাধে রাজীব তাঁর নিজের বাড়িতেই নিগৃহীত হয়েছিলেন। তাঁকে বাড়িতেই বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রাজীবের মাথায় গুরুতর চোট লাগে। অভিযোগ, ধারাল অস্ত্র দিয়ে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয় বলেও অভিযোগ।

রাজীবের সতীর্থদের আরও দাবি, প্রচণ্ড মারধরে রাজীব অসুস্থ হয়ে পড়ে। কিন্তু তাঁর কোনও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে বাড়িতেই ফেলে রাখা হয়। ৯ অগস্ট রাতে মৃত্যু হয় রাজীবের। অভিযোগ, মৃত অবস্থাতেই  রাজীবকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মৃত্যু হয়েছে রাজীবের। খবর পেয়ে বারুইপুর থানার পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।

এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে মৃতের বাবা নিতাই বিশ্বাস ও ছোট ভাই সন্দীপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে। বারুইপুর পশ্চিম এক নম্বর মণ্ডল বিজেপির সভাপতি গৌতম চক্রবর্তীর অভিযোগ মৃতের বাবা ও ছোট ভাই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। যদিও বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক বলেন, “এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এটা পারাবিরিক বিষয় বলে শুনেছি।”

বিজেপি মন্ডল সভাপতি গৌতম চক্রবর্তী বলেন, “১২৯ নম্বরের বুথ সভাপতি রাজীব বিশ্বাসকে পিটিয়ে তাঁর নিজের বাড়িতেই খুন করা হয়েছে। সেই দেহ আবার বাড়িতেই রেখে দেয়। পরের দিন ৯ তারিখ অ্যাম্বুলেন্স এনে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যারা করেছে, তারা বারুইপুর হাসাপাতালের তৃণমূল ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের নেতা কর্মীরা জড়িত।”

রাজীবেরই এক প্রতিবেশী বন্দনা বিশ্বাস বলেন, “ছেলেটার ছেলের নাম রাজীব, ওকে মারধর করা হচ্ছিল, মারের আওয়াজ পাচ্ছিলাম। রাত দেড়টা তখন বাজে। প্রায়দিনই ওকে মারত। তবে ওরা কারোর সঙ্গে সেভাবে মিশত না, তাই কেউ ওদের বাড়িতেও যায় না।” সকাল থেকেই পলাতক রাজীবের দাদা-ভাই-মা।

বারুইপুর পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের  তৃণমূল কাউন্সিলর অর্চনা মল্লিক বলেন, “এটা সম্পূর্ণ পারিবারিক বিষয়। ওদের সঙ্গে পাড়ার কারোরই ভাল সম্পর্ক নেই।”