বালুরঘাট : “দিদি নাকি দিদির রক্ষাকবচ তৈরি করেছেন। ওইসব কবজ, মাদুলিতে কিছু হবে না। শুনছি নাকি গ্রামে গ্রামে তৃণমূল নেতারা যাবেন। আপনাদের আগে থেকেই সাবধান করছি.. গরু, ছাগল সাবধানে রাখবেন। বিশ্বাস নেই। গরু, ছাগল পকেটে করে বগলদাবা করে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। এই চোরেদের কোনও বিশ্বাস নেই।” বালুরঘাটের এক সভা থেকে এ ভাষাতেই শাসকদল তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই বালুরঘাট ব্লকে সভা করে গিয়েছেন তৃণমূলের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। ফলে বালুরঘাটে সুকান্ত, শুভেন্দুর সভা ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুঙ্গে উঠেছিল তরজা। এই ঠান্ডায় বিজেপির সভায় কত লোক হয় সে দিকে নজর ছিল সকলের। পাশাপাশি ‘পাড়ার ছেলে’ সুকান্তর ঘরের জনতা আজও তাঁর সঙ্গে আছে কি না তা দেখতেও মুখিয়ে ছিলেন রাজনীতির কারবারিরা। সভা শেষে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এদিন সেই পরীক্ষায় সসম্মানে উর্ত্তীর্ণ হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার।
এদিনের সভার আগে দুপুর আড়াইটের দিকে একটি মিছিল শুরু হয় মঙ্গলপুরের দলীয় কার্যালয় থেকে। যার নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, জেলা ইনচার্জ শঙ্কর চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার, গঙ্গারামপুরের বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় সহ অন্য বিজেপি নেতৃত্বরা৷ এদিন মঙ্গলপুর থেকে মিছিলটি বের হয়ে গোটা শহর পরিক্রমা করে বালুরঘাট জেলা প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়৷ তারপর শুরু হয় মূল সভা। সেখান থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা যায় সুকান্তকে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে তৃণমূলকে এক হাত নেন তিনি।
সুকান্ত বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে এই ট্রেনটি ভুবনেশ্বর থেকে চালাতে পারতেন। কিন্তু বাংলার মানুষের কথা ভেবে এই ট্রেনটি আগে বাংলায় চালু করেছেন। আগামীতে কমপক্ষে আরও দুটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস বাংলায় চলবে বলেও তিনি জানান। তবে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূলও। তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি বলেন, “উনি রাজনৈতিক শিষ্টাচার বলে কিছু জানেন বলে মনে হয় না। ওনার কথা শুনে মনে হচ্ছে রাজনৈতিক নেতা নন, আদপে একজন রকের আড্ডাবাজ ছেলের মতো কথা বলছেন।”