বালুরঘাট: কালী পুজোর রাত। আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছে গোটা রাজ্য। সেই রকমই বালুঘাটে কালী পুজোর দিন ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন এক দম্পতি। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় দুই যুবক তাঁদের সঙ্গে অশালীণ করে। বিষয়টি নজরে আসতেই সেখানে পৌঁছায় ডিএসপি হেড কোয়ার্টার ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষী। দুই যুবককে সরিয়ে দিতে গেলে ধস্তাধস্তি বেধে যায় তাদের সঙ্গে। এরপরই চোট পান পুলিশে উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকের নিরাপত্তারক্ষী। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তদের।
দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের ঘটনা। সেখানে কালী পুজোর রাতে মদ্যপ অবস্থায় নিহার রঞ্জন সিংহ ও চঞ্চল ঘোষ নামের দুই যুবক এক দম্পতিকে অযথা হয়রানি করছিল। অভিযোগ, তাদের হাতে মদের বোতল ছিল। জানা গিয়েছে, তারা দুজনই বালুরঘাট শহরের বিশ্বাসপাড়ায় শহরের বঙ্গী এলাকার বাসিন্দা। অযথাই তারা দম্পতির উদ্দেশে কটুক্তি ও অশালীন ইঙ্গিত করছিল। এরপর বিষয়টি নজরে আসতেই সেখানে যান ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ সহ বালুরঘাট থানার পুলিশ৷
তখন মদ্যপ অবস্থায় থাকা ওই দুই যুবক পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর ডিএসপি হেড কোয়ার্টারের নিরাপত্তারক্ষী দুই যুবককে সরিয়ে দিতে গেলে তারা পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় জখম হন নিরাপত্তারক্ষী। মাটিতে রীতিমত পড়ে যান তিনি। মুখের বেশ কয়েক জায়গা কেটেও যায়। এরপর পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার ধৃতদের বালুরঘাট জেলা আদালতে তোলা হয়৷
এ দিকে, পরে ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়৷ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে বালুরঘাট থানার পুলিশ।
এই সোমনাথ ঝাঁ বলেন, ‘আমরা রাউন্ডে বেরিয়েছিলাম। সেই সময় দুই জন মাতাল এক মহিলার হাত ধরে টানাটানি করছিল। আমরা দেখতে পাই। বাধা দিতে গেলে নিরাপত্তারক্ষী চোট পান। ওদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’