বালুরঘাট: ঘূর্ণিঝড় রেমালের আতঙ্ক গৌড়বঙ্গ জুড়েই রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। এ দিকে রেমালের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে বালুরঘাটের কৃষকদের। বালুরঘাট সহ জেলা জুড়েই বিঘের পর বিঘেতে বোরো ধান রয়েছে। ধান পেকে রয়েছে ৷ ঝড় হলে সম্পূর্ণ ধান নষ্ট হয়ে যেতে পারে। হাতে সময় নেই। কী করে ধান কেটে তা ঘরে তুলবেন তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কৃষকদের মনে। ঝড় বৃষ্টির মধ্যেই তাড়াতাড়ি সম্ভব ধান কেটে তা ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা।
গতকাল রাতেই সাগর উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল আছড়ে পড়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুরেও তার প্রভাব শুরু হয়েছে। আজ থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত জেলায় কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত এবং তার সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বইবে।
এদিকে রেমাল নিয়ে কৃষক সহ জেলাবাসীকে সতর্ক করেছে জেলা কৃষি দফতর। জেলা জুড়ে করা হচ্ছে মাইকিং। এবারের জেলায় ৫৩ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। যার মধ্যে ৮০ শতাংশ ধান কাটা হলেও এখনো ২০ শতাংশ ধান মাঠেই পরে রয়েছে।
যারা পরে বোরো ধান লাগিয়েছেন সেই ধান এখনো পুরোপুরি পাকেনি। যার ফলে তা এখনো মাঠেই আছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমাল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের মাঝিয়া আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ থেকে আগামী দুদিন ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব দেখা যাবে। এর ফলে জেলা জুড়েই ব্যাপক বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এত অল্প সময়ের মধ্যে ধান কেটে ঘরে আদৌ কি নিয়ে আসা সম্ভব সেটাই ভাবাচ্ছে ধান তুলতে না পারা কৃষকদের। এদিকে ঝড় বৃষ্টির মধ্যেই ধান কেটে তা ঘরে তুলতে ব্যস্ত বালুরঘাটের কৃষকরা।