পতিরাম: স্বামীর মদ্যপান নিয়ে রোজই অশান্তি লেগে থাকত বাড়িতে। প্রায়শই ঝগড়া হত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। এদিকে স্বামী বাড়িতে মদ খেয়ে পড়ে থাকলে সংসারের ঘানি একা হাতেই টানতে হত স্ত্রীকে। কাজ করতে হত মাঠেঘাটে। এরমধ্যে স্বামীকে বুঝিয়ে কাজে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ঘটে গেল বিপত্তি। স্ত্রীর মুখে ভর্ৎসনা শুনে অভিমানে আত্মঘাতী (Suicide) হলেন স্বামী। বুধবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর(South Dinajpur) জেলার পতিরাম থানার গোপালবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিরামপুর এলাকায়। ঘটনার খবর চাউর হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।
সূত্রের খবর, শিবু মুর্মুর স্ত্রীর বৃষ্টি বেসরা৷ আজ থেকে প্রায় ১৩-১৪ বছর আগের তাঁদের দুজনের বিয়ে হয়। বর্তমানে তাঁদের একটি ১২ বছরের পুত্র সন্তানও রয়েছে। এদিকে শিবুর মদের নেশা দীর্ঘদিনের। যা নিয়েই মূলত ঝামেলা লেগে থাকত স্ত্রীর সঙ্গে। যার জেরে একাহাতে সংসারের সব দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিত হত বৃষ্টিকে। যা নিয়ে এদিন সকালেও দুজনের মধ্যে বচসা হয় বলে খবর। এদিকে এরপরই স্ত্রী কাজে বেরিয়ে যেতেই বাড়ি ফাঁকা থাকার সুয়োগ নিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয় শিবু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পতিরাম থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
ঘটনা প্রসঙ্গে মৃতের আত্মীয় কৃষ্ণ কিস্কু বলেন, “প্রায় প্রতিদিনই মদ খেয়ে থাকত শিবু। এনিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। মেয়ে মানুষ হয়েও তাঁর স্ত্রী কাজ করত। আজ সকালেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বচসা হয় মদ খাওয়া, কাজে যাওয়া নিয়ে৷ পুরুষ হয়ে সে বসে থাকবে,৷ স্ত্রীর রোজগারে বসে বসে কেন খাবে? এই কথা বলাতেই রাগে অভিমানে সে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।”