Murder : টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বচসা, কুমারগঞ্জে ঠিকা শ্রমিককে পিটিয়ে ‘খুন’

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Aug 05, 2022 | 11:40 PM

Murder : গোবিন্দর বাবা সদানন্দ দাস এসেও সুদীপকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হন সুদীপ। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।

Murder : টাকার ভাগাভাগি নিয়ে বচসা, কুমারগঞ্জে ঠিকা শ্রমিককে পিটিয়ে খুন
প্রতীকী ছবি

Follow Us

কুমারগঞ্জ: ঠিকা কাজের টাকার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে বচসা। ঘটনায় এক ঠিকা শ্রমিককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুমারগঞ্জ ব্লকের রামকৃষ্ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্রহ্মপুর এলাকায়। মৃতের নাম সুদীপ দাস(৩৬)। বৃহস্পতিবার রাতে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে গাজোল এলাকায় মারা যান ওই শ্রমিক। এই ঘটনায় কুমারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে মৃতের পরিবার। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে সদানন্দ দাস নামে একজনকে। তবে অভিযুক্ত আরও তিনজন এখনও পলাতক। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, গত সোমবার ব্রহ্মপুর এলাকায় পাঁচ শ্রমিক মিলে স্থানীয় এক মালিকের পাট কাটার কাজের ঠিকা নেন। পাঁচজন মিলেই কাজ করেছিলেন। পরদিন মঙ্গলবার পাঁচজনের মধ্যে কাজ করতে যান সুদীপ ও ঝন্টু দাস। বাকি তিন জন কাজে যাননি। মঙ্গলবার মালিকের কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়ে আসেন সুদীপ ও ঝন্টু। সেই কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়েই বাকি তিনজনের সঙ্গে তাঁদের বচসা বাধে। অভিযোগ, গত মঙ্গলবার রাতে সুদীপ দাসকে বাকি তিনজন নন্দ দাস, বাচ্চু দাস ও গোবিন্দ দাস মিলে মারধর করেন। তখন গোবিন্দর বাবা সদানন্দ দাস এসেও সুদীপকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম হন সুদীপ। রাতেই তাঁকে চিকিৎসার জন্য কুমারগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বুধবার নিয়ে আসা হয় বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে রেফার করা হয় মালদাতে। গতকাল রাতে মালদা নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় মারা যান ওই শ্রমিক। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। অন্যদিকে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ শুক্রবার দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পুলিশ মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি জানার পরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।

এবিষয়ে মৃতের ভাই সাধন দাস বলেন, “আমার দাদা সহ মোট পাঁচজন গ্রামের এক পাটের জমিতে কাজে গিয়েছিল। সেই কাজের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বচসা হয়। যার ফলে আমার দাদাকে বেধড়ক মারধর করে। সেই সময় একজন কাঠ দিয়ে দাদার মাথায় আঘাত করলে সেখানেই লুটিয়ে পড়ে। পরে সে মারা যায়। আমি চাই, আমার দাদাকে যারা খুন করেছে, তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়।”

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বাদল দাস বলেন, “কাজের টাকা নিয়েই বচসা হয়। যেখানে সুদীপ দাস নামে ওই শ্রমিককে মারধর করে চারজন মিলে। যার ফলে মৃত্যু হয় সুদীপের। ইতিমধ্যে একজন ধরা পড়েছে।”

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, “কুমারগঞ্জে একজনকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে একজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদেরও খোঁজা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা শুরু হয়েছে।”

Next Article