বালুরঘাট: অল্প বৃষ্টি হলেই গ্রামে থাকে না বিদ্যুৎ। রবিবারের পর রাতভর নেই বিদ্যুৎ। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদবঙী খরাইলের ঘটনায়। বিদ্যুৎ না থাকায় সোমবার দুপুরে ক্ষুব্ধ গ্রামের মহিলার বালুরঘাট বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও করে দেখালেন বিক্ষোভ ৷ এমনকী মহিলারা অফিসের আধিকারিকদের ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। মহিলাদের পাশাপাশি গ্রামের পুরুষরা বিক্ষোভ দেখান।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের সময় উপস্থিত ছিলেন না ডিভিশনাল ম্যানেজার শুভময় সরকার। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তাদের গ্রামের বিদ্যুৎ কানেকশন আগে বালুরঘাটের অধীনে ছিল। বর্তমানে সেটা হিলির সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। তার পর থেকেই বিদ্যুৎ থাকে না বেশির সময় বলেই অভিযোগ গ্রামবাসীদের। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকরা।
এবিষয়ে বিক্ষোভকারী নৃপেন দেবনাথ বলেন, “আগে আমাদের গ্রামের বিদ্যুৎ শহরের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন শহর থেকে সেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে গ্রামের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। যার ফলে প্রতিদিনই বিদ্যুৎ বিভ্রাট চলছে। তীব্র গরমের মধ্যে গতকাল সারা রাত বিদ্যুৎ ছিল না। শিশুরা পড়াশোনা করতে পারছে না। ঘুমোতে পারছে না। বড়দেরও প্রচণ্ড সমস্যা হচ্ছে। এর আগেও একাধিকবার জানানো সত্বেও দফতর কোনও কাজ করেনি।
এবিষয়ে বালুরঘাটের বাদবঙ্গী খরাইল গ্রামের এক বিক্ষোভকারী মহিলা মৌমিতা চক্রবর্তী বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের গ্রামে বিদ্যুতের সমস্যা হচ্ছে। বার বার কারেন্ট চলে যায়। দুই তিন ঘণ্টাতেও আসে না। এই গরমের মধ্যে আমরা রাতভর নাজেহাল হয়ে জেগে থাকি। এমনকি মাঠে কাজ করে আসার পরেও আমাদের গ্রামের মানুষ স্বস্তি পায় না। বহুবার বিদ্যুৎ দফতরে জানানো হয়েছে। দফতর থেকে কোন পদক্ষেপই নেয় না। তাই আজকে আমরা এখানে এসেছি।”
অন্যদিকে এবিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরের বালুরঘাট ডিভিশনের ম্যানেজার শুভময় সরকার বলেন, “আজকে একটি গ্রামের বাসিন্দারা অফিসে এসেছিলেন। ওই গ্রামের বিদ্যুতের সমস্যা হয়েছিল। ওরা গ্রামের কানেকশনের পরিবর্তে শহরের কানেকশনের সাথে যুক্ত হতে চাইছে বলে জানতে পেরেছি। এছাড়াও কিছু দাবি রয়েছে। পুরোটাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে কোথাও বিদ্যুৎ চলে গেলেই রাত হলেও আমাদের কর্মীরা কাজ করে পরিষেবা দেয়।