গঙ্গারামপুর: বছর ঘোরেনি এখনও। মাত্র ৯ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল। তার মধ্যে সব শেষ! স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠল স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনায় মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মৃতা গৃহবধূর নাম শবনম পারভীন (২০)। উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের মেয়ে শবনমের বিয়ে হয়েছিল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে। সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীপুরের বাসিন্দা ছিলেন তাঁরা। দেখাশোনা করেই বিয়ে হয়েছিল। তবে বিয়ের পর থেকেই নাকি টাকা চেয়ে চলছিল অত্যাচার। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে শবনমের পরিবারের তরফ থেকে।
স্ত্রীকে খুন করার গত বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে গঙ্গারামপুর থানায়। অভিযোগ পেতেই অভিযুক্ত স্বামী ফারুক মিঁয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তকে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে মৃতদেহ শুক্রবার ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ফারুক মিঁয়া পেশায় রঙ মিস্ত্রী। বিয়ের সময় পাত্রের দাবি মতো ২ লক্ষ টাকা, সোনার গয়না সহ অন্যান্য জিনিসপত্র দিয়েছিল শবনমের পরিবার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই আরও টাকার জন্য স্ত্রীর ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন ফারুক। শবনমের পরিবারের অভিযোগ, ইদের পর একদিন স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বলা হয়েছিল যে তাঁদের মেয়ে পালিয়ে গিয়েছে। এরপর গত বৃহস্পতিবার ফারুকের পরিবারের তরফে শবনমের বাপের বাড়িতে জানানো হয়, তাঁদের মেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছে। কিছু বাদেই বলা হয় তাদের মেয়ে মারা গিয়েছে। খবর পেয়ে ছুটে যান শবনমের আত্মীয়রা। তাঁদের দাবি, তাঁরা গিয়ে দেখেন দেহ নীচে রাখা রয়েছে। এমনকী গলায় ফাঁস লাগানোর কোনও দাগও নেই। এরপরই খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এবিষয়ে মৃতের আত্মীয় আনারুল হক জানান, শ্বশুর বাড়ির তরফে বলা হয়েছিল যে তাঁদের মেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু ফাঁস লাগানোর কোনও চিহ্নই নাকি পাওয়া যায়নি। এমনকি কোথায় ফাঁস দিয়েছে তাও পরিষ্কারর করে বলতে পারেননি কেউ। আপাতত ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।