বালুরঘাট: মাধ্যমিকের পরেই শরীরে বাসা বেঁধেছিল বিরল রোগ। বেঁকে যাচ্ছিল শিরদাঁড়া। থাবা চওড়া করছিল অ্যানকোলাইসিস স্পন্ডেলাইটিস। যার ফলে পড়াশোনা ভুলতে বসেছিল বালুরঘাটের জয়দীপ সামন্ত। কিন্তু, শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এবার উচ্চমাধ্যমিকে করে ফেলেছে একেবারে তাক লাগানো রেজাল্ট। মার্কশিট বলছে ৫০০ এর মধ্যে ৪৮২। বালুরঘাট হাইস্কুলে প্রথম। এমনকি জেলার মধ্যেও সম্ভাব্য প্রথম বলেই জানা গিয়েছে। মাত্র ৫ নম্বরের জন্য রাজ্যের দশজনের মেধাতালিকায় আসতে পারেনি জয়দীপ। জয়দীপের ইচ্ছে বড় হয়ে আইএএস অফিসার হওয়ার। কাজ করতে চায় দেশের জন্য।
বালুরঘাট শহরের উত্তরায়ন ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় বাড়ি। ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলে পরিচিতি রয়েছে। মাধ্যমিকে এসেছিল ৬৬০ নম্বর। কিন্তু, মাধ্যমিকের পর থেকে শরীরে বাসা বাঁধে অ্যানকোলাইসিস স্পন্ডেলাইটিস। বেঁকে যাচ্ছিল গোটা শরীর। সোজা হয়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটাই যেন ধীরে ধীরে উবে যাচ্ছিল। নানা জায়গায় দেখানো হয় ডাক্তার। চলতে থাকে চিকিৎসা। এরইমধ্যে দুয়ারে কড়া নাড়তে থাকে উচ্চমাধ্যমিক।
শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে সঙ্গী করেই উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষায় বসে জয়দীপ। শেষে উচ্চমাধ্যমিক। আসে ৪৮২ নম্বর। বাংলায় পেয়েছে ৯৫, ইংরেজিতে ৯৭, ইতিহাসে ৯৩, ভুগোলে ৯৮, রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৯৭, দর্শনে ৯৫ নম্বর পেয়েছে। তার এই তাক লাগানো রেজাল্টে স্বভাবতই খুশি পরিবারের সদস্যরা। খুশি বালুরঘাট হাইস্কুলের শিক্ষকেরাও। খুশির হাওয়া বন্ধু মহলেও।