RG Kar: ক্যামেরা দেখেই পাইপাই করে ছুটেছিলেন পুলিশকর্মী স্বামী, স্ত্রী বললেন, ‘প্যানিক অ্যাটাক’

Rupak Sarkar | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 21, 2024 | 5:21 PM

RG Kar Case: অনুপ দত্তের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা,মা,স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ছুটি পেলেই বাড়ি আসতেন তিনি। স্ত্রী সন্ধ্যা দত্ত  পেশায় স্বাস্থ্য কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে অনুপ দত্ত কলকাতা পুলিশে রয়েছে। গতকাল স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে অনুপবাবুর।

RG Kar: ক্যামেরা দেখেই পাইপাই করে ছুটেছিলেন পুলিশকর্মী স্বামী, স্ত্রী বললেন, প্যানিক অ্যাটাক
RG Kar:
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

বালুরঘাট: তিলোত্তমা কাণ্ডে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রের গ্রেফতারির পর থেকেই উঠে এসেছে কলকাতা পুলিশের এক এএসআই এর নাম। তিনি অনুপ দত্ত। এই অনুপ দত্তের বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের বাদামাইল এলাকায়। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। সেখানে হাজিরা দেওয়ার সময় আচমকা সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে দৌড় দেন তিনি। সেই ছবি ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তবে এলাকার ‘পরোপকারী’ ছেলেটাকে সিবিআই ডেকে পাঠাতে পারে তা কার্যত বিশ্বাস করতে পারছেন না স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পরিবার পরিজন।

অনুপ দত্তের বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মা, স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। ছুটি পেলেই বাড়ি আসতেন তিনি। স্ত্রী সন্ধ্যা দত্ত  পেশায় স্বাস্থ্য কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে অনুপ দত্ত কলকাতা পুলিশে রয়েছে। গতকাল স্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে অনুপবাবুর। সন্ধ্যাদেবী বলেন, “গতকালের পর কথা হয়েছে। ওঁর শরীর ভাল না। তবে এই ব্যাপারে কোনও কথা বলেনি।” তিনি আরও বলেন, “আমার স্বামী কোনও খারাপ কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন না। এলাকা থেকে খোঁজ নিতে পারেন। তবে আমি শুনেছি ডিপার্টমেন্টাল তদন্তের জন্য ডেকেছে। তবে আমার খারাপ লাগছে মানুষ এইভাবে রঙ চড়াচ্ছে। আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের লোক। আমাদের মিডিয়া-পুলিশ দেখলে প্যানিক অ্যাটাক হয়। ওরা নিজেদের এইভাবে তৈরি করেছে কেন যে ভয় লাগবে কেন? রঙ চড়িয়ে কেন কথা বলা হচ্ছে যে ওঁর প্যানিক অ্যাটাক হচ্ছে। ওঁর ক্ষতি হলে তো আমারও ক্ষতি হত।”

এদিকে অনুপ দত্ত কলকাতা পুলিশের তৃণমূল সংগঠনের দ্বায়িত্ব থাকার পাশাপাশি এলাকাতেও তার প্রভাব রয়েছে বলেই জেলা বিজেপির দাবি। এমনকী, আরজি কর-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়রও অনুপ দত্তের বাড়িতেও এসেছেন বলেই দাবি বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকারের।অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে অনুপ দত্ত কলকাতা পুলিশের তৃণমূল সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন। বালুরঘাটে সেভাবে দলের বা সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। যে কোনও অভিযোগ করা যেতে পারে। কিন্তু তার সত্যতা ও ভিত্তি কতটা তা কিন্তু দেখা দরকার বলেই তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি জানিয়েছেন। সনাতন পাল নামে স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “খুবই ভাল লোক। আমার এক রোগীকে কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিলাম ওর সাহায্যেই। কালকে টিভিতে ওঁকে দৌড়াতে দেখলাম। কী কারণে দৌড়লেন জানি না।”

উল্লেখ্য, অনুপের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আরজি কর-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া সিভিক ভলান্টিয়রকে ব্যারাকে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। শোনা যায় তিনি পদে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর হলেও, বাহিনীতে তাঁর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, গত কয়েক বছর ধরে এই পুলিশ ওয়েলফেয়ার কমিটির নেতা বা সদস্যরা শাসকদলের অনুগত হওয়ার কারণে তাঁদের ক্ষমতা বা প্রভাব ভালই রয়েছে বাহিনীতে।

Next Article