Hospital Food: খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না মাছের পিস, উধাও ডিম, এ কী খাবার হাসপাতালে?
Hospital Food: সকালে দেওয়া হচ্ছে তিন পিস পাউরুটি, একটি ছোট মিষ্টি ও একটি কলা। পাত থেকে উধাও দুধ ও ডিম। দুপুরে রোগীদের দেওয়া হয়েছে সাদা ভাত, কোয়াশের ঝোল ও ছোট একপিস মাছ। দুপুরের মেনুতে নেই ডাল ও মিক্সড সবজি।
দক্ষিণ দিনাজপুর: মেনুতে বলা আছে ডিম, অথচ পাতে নেই। মাছ তো চোখেই দেখা যায় না। এমনই অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। সকালে, দুপুরে ও রাতে তিন বেলা যে খাবারের মেনুর তালিকা দেওয়া আছে তা মেনে খাবার দেওয়া হচ্ছে না রোগীদের। এমনই অভিযোগ তুলেছেন রোগীর পরিজনেরা। হাসপাতাল চত্বরে বড় বড় করে বাংলা হরফে লেখা রয়েছে সকাল, দুপুর ও রাতের মেনু। অথচ তার সামনে দাঁড়িয়ে রোগীদের জন্য যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, তা দেখে একরকম হতবাক রোগীর পরিজনেরা।
সকালে দেওয়া হচ্ছে তিন পিস পাউরুটি, একটি ছোট মিষ্টি ও একটি কলা। পাত থেকে উধাও দুধ ও ডিম। দুপুরে রোগীদের দেওয়া হয়েছে সাদা ভাত, কোয়াশের ঝোল ও ছোট একপিস মাছ। দুপুরের মেনুতে নেই ডাল ও মিক্সড সবজি। কিন্তু সরকারি গাইডলাইন অনুযায়ী, সকালে ২৫০ মিলি লিটার দুধ, সিদ্ধ ডিম একটি, ৫০ গ্রাম পাউরুটি, একটি কলা দেওয়ার কথা। দুপুরে দেওয়ার কথা ভাত, ডাল, পাঁচমিশালি সবজি ও মাছ। রাতের মেনুতে চারটি রুটি, ডাল, মিক্সড সবজি, ডিম ভাজা দেওয়ার কথা।
আধিকারিকদের নজরদারির অভাবেই তালিকা অনুযায়ী খাবার পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের। হাসপাতালে সূত্রে খবর, ২০১১ সাল থেকে হাসপাতালে খাবার দেওয়ার দায়িত্বে রয়েছে আকচা মহামিলন সঙ্ঘ। এদিকে এমন ঘটনা সামনে আসতেই ওই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৈঠক করেছে।
রোগীর এক আত্মীয় মেরিনা ইয়াসমিন বলেন, “আমার আত্মীয় জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছেন। সকালে ক্যান্টিনে খাবার নিতে গিয়ে পেলাম তিন পিস পাতলা পাউরুটি, একটা মিষ্টি ও একটা কলা। আমার সুগারের রোগী হাসপাতালে রয়েছে। তাহলে সুগারের রোগীরা কী করে মিষ্টি খাবে? ডিমের কোনও বালাই নেই। একদম নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে।”
এবিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, আমি এই নিয়ে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছি। শুনেছি ২০১১ সাল থেকে একটি স্বনির্ভর গোষ্ঠী রোগীদের খাবার দিয়ে আসছে। এই নিয়ে ওই গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।